জেলা পুলিশের বিবৃতি:: বন্দুকযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ১। মামলা নং-৯৩ তারিখ-২৮/১০/১৩ ধারা-১৪৩/৩৪১/৩১৪/৩২৩/ ৩২৫/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড, ০২। মামলা নং-৫১ তারিখ-১৭/১০/১৩ ধারা-৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড,৩। মামলা নং-৮০ তারিখ-২১/০২/১৪ ধারা-১৯০৮ সনের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইন এর ৪ ধারা, ৪। মামলা নং-২০ তারিখ-০৪/০৫/১৪ ধারা-১৪৩/৩৪৩/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৭৯/৩৮৫/৩৮৬পেনাল কোড, ৫। মামলা নং-১৭ তারিখ-১৮/০২/১৪ ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড, ৬। মামলা নং-৬১ তারিখ-১৮/০৯/১৪ ধারা-৪৬১/৩৮০ পেনাল কোড, ৭। মামলা নং-৮৭ তারিখ-১৯/০৪/১৪ ধারা-১৪৩/৩৪১/ ৩২৩/৩২৪/৩০৭/১১৪ পেনাল কোড, ৮। মামলা নং-০৬ তারিখ-০১/০৪/১৫ ধারা-১৪৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/ ৩৮৫/১১৪ পেনাল কোড তৎসহ বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইনের ৩/৪, ৯। মামলা নং-৫৪ তারিখ-১৪/০৪/১৫ ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড এর পলাতক আসামী মোঃ উজ্জল মিয়া(৩৫) পিতা-জন্টু মিয়া প্রকাশ জয়নাল প্রকাশ জলফু মিয়া সাং-তারাগণ থানা-আখাউড়া জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া বর্তমানে সাং-মেড্ডা, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন ঘাটুরা সাতবাড়ীয়া সাহাবুদ্দিন এর পরিত্যাক্ত ব্রিক্স ফিল্ডে উজ্জলসহ তার প্রায় ১০/১২জন সহযোগী অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্যসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। অতঃপর অদ্য ২২/০৪/২০১৫খ্রিঃ ০০.১৫ ঘটিকার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আকুল চন্দ্র বিশ্বাস এর নেতৃত্বে সদর থানা পুলিশ উক্ত স্থানে পৌছামাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুস্কৃতিকারীরা পুলিশের উপর এলোপাথারি গুলি, বোমা ও ব্রিক্স ফিল্ডের ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরবর্তীতে পুলিশ সরকারি অস্ত্র-গুলি ও আত্মরক্ষার্থে দুস্কৃতিকারীদের নিভৃত করার জন্য ২৬ (ছাব্বিশ) রাউন্ড শটগানের গুলিবর্ষণ করলে দুস্কৃতিকারীরা ১০ইঞ্চি লম্বা একটি বিদেশী রিভলবার, ০৩ রাউন্ড গুলি, রিভলবারের ফায়ারকৃত ০২ রাউন্ড গুলির খোসা, ০৩টি রামদা, ০১টি চর্টলাইট, ১১টি বোমা (দেশীয় ভাষায় ককটেল), বন্দুকের ফায়ারকৃত ০৫টি কার্তুজ ফেলে রেখে ব্রিকস্ ফিল্ডের পাশ দিয়ে পূর্ব দিকে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে দেখতে পায় যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী উজ্জল গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। পুলিশ গুরুতর আহত উজ্জলকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া উক্ত ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আকুল চন্দ্র বিশ্বাস, এএসআই/মেহেদী হাসান খান ও কনস্টেবল/১২২৮ মোঃ মাসুদ মিয়া দুস্কৃতিকারীদের ছোড়া গুলি ও নিক্ষিপ্ত ইটপাটকেল এর আঘাতে তাদের হাতের কুনুই, পায়ের হাটুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও কাটা জখম হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানা পুলিশ মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ লাশ ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। উল্লিখিত ঘটনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য যে, মৃত উজ্জল এর বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলাগুলো বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন এবং থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।
উল্লিখিত সংবাদটি স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে অদ্য ১৬.০০ ঘটিকার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানাধীন শহরের কুমারশীল মোড় হতে উদীচি শিল্পগোষ্ঠির সাধারণ সম্পাদক নিতিশ রায় এর নেতৃত্বে ২০০/২৫০ জন পৌরসভাস্থ ৪নং ওয়ার্ড ও আশেপাশের এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল বের করে। উক্ত মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে স্থানীয় জনসাধারণ সুশীল বিশ্বাস, শেখ মোঃ সেলিম, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি, আহসানুল হক হাসান, ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, সার্জেন্ট(অবঃ) আরবার হোসেনসহ আরো অনেকে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী উজ্জলের নিহত হওয়ায় স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করে বক্তব্য শেষে ১৬.৪৫ ঘটিকার সময় মিষ্টি বিতরণ করে তাদের কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করে।