আম কুড়াতে যাওয়াই কি শিশুটির অপরাধ!-প্রতিবেশির দায়ের আঘাতে শিশু মিহাদের জীবন বিপন্ন
ডেস্ক ২৪::বাড়ীর পার্শ্বের ধানের জমিতে ঝড়ে গাছ থেকে ছিটকে পরা আম কুড়াতে যাওয়াটাই কি ৫ বছর বয়সী নিষ্পাপ শিশু মিহাদের অপরাধ! এ কারণেই কি ধারালো দায়ের আঘাতে তার পায়ের গোড়ালীর রগ আর হাড় কেটে পঙ্গুত্ব এবং সমূহ জীবন বিপন্ন হওয়ার দিকে ঠেলে দিতে হবে? এ কেমন মনুষত্ব জ্ঞান? এমন অমানবিক এবং মর্মন্তুদ ঘটনাই ঘটিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাধীন মাছিহাতা ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের জাহাঙ্গীর খান।
দাদা আবদুল হাসিম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানায় রুজুকৃত এজাহার পরবর্তীতে এসআই ইশতিয়াক আহাম্মদ এর তদন্তে প্রমাণ সাপেক্ষে ৬ এপ্রিল দায়েরকৃত মামলা নং-২২ এবং সাক্ষী প্রতিবেশীদের বর্ণনায় প্রকাশ, গত ১ এপ্রিল বুধবার বিকেল ৫টায় মনের কৌতুহল বশতঃ বাড়ীর পাশের জাহাঙ্গীর খানের ধানের জমিতে ঝড়ে গাছ থেকে ছিটকে পরা আম কুড়াতে যায় বাদীর ৫ বছরের শিশু বয়সী নাতি তারিফুল ইসলাম মিহাদ। তখন ধানের জমিতে ধারালো দা নিয়ে কাজ করছিলো জমির মালিক জাহাঙ্গীর খান। শিশুটি আম কুড়াতে জমিতে নামার পর ধানের জমি নষ্ট করছে মনে করে “এই তুই গেলি গেলি, নাইলে মেলা মারুম” বলে হাতে থাকা ধারালো দা উঁচিয়ে শিশু তারিফুল ইসলাম মিহাদ (৫) কে ধাওয়া দেয় জাহাঙ্গীর খান (৪৫)। এতে ভয় পেয়ে নিষ্পাপ শিশুটি আম না কুড়িয়েই দৌড়ে পালানো অবস্থায় ধরতে না পেরে জমির মালিক দক্ষিণ পূর্ব কোণায় বৈদ্যুতিক খুঁটির নিকট পৌছা মাত্রা শিশু মিহাদের পেছন হতে খুন করার উদ্দেশ্যে তার দিকে হাতে থাকা ধারালো দা ছুঁড়ে মারলে এটি মিহাদের ডান পায়ের পেছনে গোড়ালীতে লেগে পায়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রগ এবং হাড় কেটে গভীর ক্ষতযুক্ত মারাত্মক জখম করে। তখন দিশাহারা শিশু মিহাদ আর্তচিৎকারে মা বাবাকে ডাক দিলে মা শাহানা বেগম ও বাবা খোকন মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আহত অবস্থায় ছেলেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু পায়ের গোড়ালীর ক্ষত ভয়াবহ হওয়ায় এবং শারিরীক অবস্থা অবনতির দিকে ধাবিত হওয়ায় আরএমও সহ দায়িত্বরত ডাক্তার শিশু তারিফুল ইসলাম মিহাদকে ঢাকাস্থ ট্রমা সেন্টারে রেফার করেন। শিশু মিহাদ মুমূর্ষ অবস্থায় বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।