পৌর এলাকায় আবারও কৌশলে পুকুর ভরাটের অপতৎপরতা
স্টাফ রিপোর্টার ॥প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং ভয়াবহ আগুনের দুর্ঘটনা হতে বাড়ি, ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পুকুর দিঘীর কোন বিকল্প নেই। কারণ, প্রয়োজনের সময় এখান থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। কিন্তু এই অতীব জরুরী বিষয়টির দিকে গুরুত্ব না দিয়ে বিগত ১০ বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার সর্বত্র কমপক্ষে ২০/২৫ টি পুকুর দিঘী আবাসন ব্যবসার ধান্ধায় পাইপ দিয়ে তিতাস নদী ও খালের পানির সাথে সংগৃহিত বালু এবং ট্রাক্টর দিয়ে আনা মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে মালিক দাবিদার পরিবেশ বিরোধীরা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর জলাশয় ভরাট না করার অনুরোধে কেহ সাড়া দেয়নি। এমনকি পরিবেশ অধিদপ্তরের আওতায় মামলা করেও সুফল মিলেনি। গত বেশ কয়েক বছর যাবত এমনি একটি পুকুর কৌশলে ভরাট করে ফেলার অপতৎপরতা চলছে। সেটি হলো পৌর এলাকার কাজীপাড়া মৌলভী হাটি মসজিদ এবং কবরস্থান সংলগ্ন প্রাচীণ পুকুরটি। এতে বিগত কয়েক বছর আগেও মহল্লার কিশোর তরুণ যুবক বৃদ্ধরা অজু, গোসলসহ কাপর কাঁচতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে এটি আগাছায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় কেহ এতে নামে না। শুধু পুকুরের সাক্ষী চিহ্নিত ঘাটলার সিঁড়িতে আড্ডা দিয়ে সময় কাটায়। বেশ কয়েকবার এই মহল্লার অধিবাসী নাজিম উল্লাহ্ নাজু নিজ খরচে আগাছা পরিস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করেন। কিন্তু পুকুরের মালিক দাবিদার ব্যক্তিরা সার ছিটিয়ে আগাছা পুণর্জন্ম দিয়ে কৌশলে ব্যবহার অনুপযোগী করে যেকোন সময় মাটি ফেলে ভরাট করে প্লট বিক্রির ধান্ধায় রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে সাবেক পৌর মেয়রকে এ বিষয়ে অবগত করেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। এরই পাশাপাশি কতিপয় ব্যক্তি মিলে পুরাতন জেলখানা পুকুরটিও মাটি ভরাটের গোপন তৎপরতা চালাচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন সূত্র জানায়। উল্লেখ্য, অতীতকালে ব্যবহারের পানির প্রয়োজনে সচেতন মানুষ জমি কেটে পুকুর তৈরী করতেন, আর বর্তমানে এক বিপরীত অবস্থা। ভরাট করে ফেলা হচ্ছে সকল পুকুর দিঘী!