মাদার ল্যাব শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে মালিক কর্তৃক সেবিকা ধর্ষণের শিকার ॥ ধর্ষক পলাতক
শামীম উন বাছির:: ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাইকপাড়ার মিজান টাওয়ারে অবস্থিত বেসরকারী মাদারল্যাব শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে এক মালিক রাত্রীকালীন দায়িত্বরত সেবিকাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১০ জানুয়ারী শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষক ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দিয়েছে।
মানসিক চাপে বিপর্যস্ত ১৫বছর বয়সী সহকারী সেবিকা জানায়, শনিবার রাতে দায়িত্বপালনকালে সে সেবিকা কক্ষে বিশ্রামের সময় মাদারল্যাব শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের মালিক পক্ষের ৩০জন পরিচালকের ১জন ঘাটুরা কাজী বাড়ির মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কাজী শাহিনুর রহমান শাহীন সেবিকাদের বিশ্রাম কক্ষে ঢুকে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে। গতকাল রোববার সকালে জ্ঞান ফিরে আসলে সেবিকা বুঝতে পারে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। হাসপাতালের অন্যান্য স্টাফ ও পরিচালকদের সূত্রে জানাগেছে, বিষয়টি বুঝতে পেরে ধর্ষণের শিকার ওই সেবিকা কান্না শুরু করলে তাকে জিজ্ঞাসা করে তারা ঘটনাটি জানতে পারে। ওই সেবিকা গতকাল রোববার ৪/৫বার অজ্ঞান হয়ে যায়। ঘটনার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পেয়ে মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইসতিয়াক ঘটনাস্থলে পৌছে ধর্ষণের শিকার সেবিকার জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।এ ব্যাপারে মাদারল্যাব শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের কর্ণধার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, আমি আজ (রোববার) সকাল ১০টায় হাসপাতালে এসে স্টাফদের হৈ চৈ দেখে জিজ্ঞাসা করে এ ঘটনা জানতে পারি। এই অমানবিক ঘটনার জন্য দায়ী কাজী শাহিনুর রহমান শাহীন ২ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে শেয়ার হোল্ডার হয়েছে। তিনি জানান, সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক সাধন মিয়ার বড় সন্তান এই মেয়েটি গত ৪/৫মাস যাবৎ আমাদের হাসপাতালে কর্মরত আছে। এ অপকর্মের জন্য দায়ী পলাতক কাজী শাহিনুর রহমান শাহীনকে পরিচালক বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে ইতিমধ্যেই মালিকানা শেয়ার হোল্ডার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
লোক মাধ্যমে খবর পেয়ে গতকাল রোববার রাতে ০৯টায় হাসপাতালে আসেন দরিদ্র কৃষক সাধন মিয়া। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এই মেয়েটি আমার ৫ মেয়ে ও ১ছেলের মধ্যে সবার বড়। গরীব হওয়ায় পেটের দায়ে তাকে নার্সের কাজে মানুষের সেবায় চাকরী করতে দিয়েছিলাম। শুনেছি আমার মেয়ের সর্বনাশকারী শাহীন ১ছেলের বাবা। আমি আপনাদের মাধ্যমে এই ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই। আইনগত ব্যবস্থার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে ধর্ষণের শিকার ওই সেবিকা জানায়, পরিচালক শাহীন কাজে যোগ দেয়ার পর থেকে আমাকে ডিস্টার্ব করতো। ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করবো।