Main Menu

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে গিয়ে চোর হয়ে জেলে গেলেন সবুজ

+100%-

প্রতিবেদক : মাদক ব্যবসায়ী থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে গিয়ে বর্তমানে চুরির মামলায় জেল খাটছেন জাহাঙ্গীর আলম সবুজ। টাকা না পেয়ে বছর খানেক আগের অন্য উপজেলার এক চুরির মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে তাকে। এর আগে করা হয়েছে পৈশাচিক নির্যাতন। যার ফল সরুপ আদালতে হাজিরের পূর্বে তাকে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। আর এসব ঘটনার পিছনে দায়ী সদর মডেল থানা উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) মো. বেলাল। শনিবার চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের কাছে সবুজের বোন ছেনু বেগমের করা এক অভযোগপত্র সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অভিযোগপত্রে ছেনু বেগম আরো জানান, গত ২৯-৬-১৩ তারিখে কসবা থানায় মাদক মামলায় গ্রেফতার হয় তার ভাই সবুজ। এর পর আদালতে হাজিরের জন্য আনা হলে শুধু নাম জিজ্ঞাসা করেই কোন কথা না বলে উপ-পরিদর্শক বেলাল তাকে মারতে থাকে এবং পরে দেখে নেবে বলে শাসায়। রোজার ইদের পর ছাড়া পেয়ে সবুজ এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে মাদক ব্যবসায় ছেড়ে দিবে বলে অঙ্গীকার করে এবং বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকে। এ দিকে গত ৬-৯-১৩ তারিখে সদর থানার হাবিলদার হুমায়ুন কবির সবুজকে নগদ ২০০০ টাকা এবং ৫ বোতল ফেন্সিডিল দেবার কথা বলে। কিন্তু মাদক ব্যবসায় ছেড়ে দেবার ফলে সবুজ ফেন্সিডিল দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। সে দিন রাতেই হুমায়ুন সবুজকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে উপ-পরিদর্শক বেলালের কাছে সোপর্দ করে। উপ-পরিদর্শক বেলাল সবুজকে রাতভর মারধোর করেই ক্ষান্ত হননি, সকালে পুনরায় তাকে মারধোর করে জ্ঞানহীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ২০১২ সনের বাঞ্ছারামপুর উপজেলার একটি চুরির মামলায় আদালতে সোপর্দ করে।

ছেনু বেগম ঘটনার তদন্ত করে তার নির্দোষ ভাইয়ের উপর যে অমানবিক নির্যাতন হয়েছে তার বিচার দাবি করেছেন।






Shares