Main Menu

শত চেষ্টায় ও শহরকে যানজটমুক্ত করতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন

+100%-

প্রতিবেদক : অনেক ঢাল-ঢোল পেটানো সত্ত্বেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে যানজটমুক্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। ট্রাফিক আইন না মানা এবং একশ্রেণীর অসাধু ট্রাফিক পুলিশের কারনে বারবার হোঁচট খাচ্ছে পুলিশ সুপারের উদ্যোগ। সর্বশেষ পুলিশ সুপার রমজান মাসে শহরকে যানজটমুক্ত করার ঘোষনা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছোট্ট শহর হলেও জনসংখ্যার চাপ প্রকট। বিশেষ করে রমজান, ঈদ এবং পূজায় শহরে ব্যাপক লোকের সমাগম ঘটে। জেলার  বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন কেনাকাটার জন্য এখানে আসে। ফলে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মাথায় রেখে রমজান শুরুর পূর্বে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিয়ময় করে শহরকে যানজট মুক্ত রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়। সেই আলোকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ইজি বাইক এবং অটো টেম্পুর ভ্রাম্যমান ষ্ট্যান্ড শহরের বিভিন্ন স্হানে নির্ধারণ করা হয়। একই সাথে সকাল ৬টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শহরে ট্রাক প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ এবং শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোর দু’পাশে এবং ফুটপাতে অবৈধ পার্কি ও ভাসমান ক্ষুদ্র দোকানীদের বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরিকল্পনার আলোকে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করবে বলে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। রমজানের প্রথম দিকে রাস্তার উপর থেকে ভাসমান ক্ষুদ্র দোকানীদের সরিয়ে দিতে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এর পরের দিনই শহরের গুরুত্বপূর্ন সবগুলো রাস্তার দু’পাশে অসংখ্য রিক্সা, ইজিবাইক অবৈধ পার্কিং করতে দেখা গেছে। সাধারন মানুষের অভিযোগ, প্রতিদিন বে আইনি ভাবে ইজি বাইকগুলো শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোতে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখলেও ট্রাফিক পুলিশ কিম্বা অন্য কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে কখনো কোন ব্যবস্থা নেয় না।
দিনের বেলা শহরে ট্রাক প্রবেশ নিষেধ থাকলেও ব্যস্ততম কুমারশীল মোড় এলাকায় সকাল থেকেই কিছু মাল বোঝাই ট্রাক চলাচল করছে। রাস্তার দু’ধারে মালামাল লোড-আনলোডের কারনে এই রাস্তার সারাক্ষণ যানজট লেগেই আছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাক পবেশে কড়াকড়ির কথা বলা হলেও এটি কঠোর ভাবে মানা হচ্ছে না। এছাড়া শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবনের পাশে এবং গুরুত্বপূর্ন সড়কের পাশে নির্মাণ সামগ্রী রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রকাশ্যে বেআইনীভাবে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। এক্ষেত্রে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ উভয়েই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে পুলিশের সাথে কথা বলে জানা যায়, রমজান উপলক্ষে ২৭ জন পুলিশ সদস্যকে যানজট নিরসনে কাজে লাগানো হচ্ছে। এছাড়াও জেলা চেম্বার এন্ড কমার্স এর পক্ষ থেকে ৩৩ জন কমিউনিটি পুলিশ দেয়ার কথা থাকলেও এখনও তারা দেননি। যানজটের কারণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও জনসচেতনতার অভাবে কাংখিত সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে না। খুব শিঘ্রই সুফল আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।






Shares