Main Menu

“ডাঃ হানিফ রাজাকার, আজ থেকে হাসপতাল ছাড়”

+100%-


মনিরুজ্জামান পলাশ : “ডাঃ হানিফ রাজাকার, আজ থেকে হাসপতাল ছাড়” কথাগুলো মার্কারী কলম দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের তিনটি কক্ষের দরজায় লিখে কক্ষগুলোর দরজার তালা অচল করে দেয় কে বা কারা। রেডিওলজির বিভাগের প্রধান ডাঃ আবু হানিফ একজন জামায়াত সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় হাসপাতালে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।পরে হাসপাতালের লোকজন তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন। ডাঃ আবু হানিফ কক্ষে বসে যথারীতি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেন।    
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার সকালে তারা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন হাসপাতালের তৃতীয় তলায় অবস্থিত রেডিওলজি বিভাগের তিনটি দরজায় মার্কারী কলম দিয়ে “তুই রাজাকার হাসপাতাল ছাড়” লিখা। পাশাপাশি ওই তিনটি কক্ষের দরজার তালায় শক্ত কিছু ঢুকিয়ে তালা অচল করে রাখে। বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালের লোকজন তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এ ব্যাপারে রেডিওলজির বিভাগের প্রধান ডাঃ আবু হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সকালে হাসপাতালে এসে তালা খুলতে পারছিলমা না। পরে তালা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করতে হয়। তিনি বলেন, আমি জামায়াত সমর্থিত ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম সমর্থন করি বলে হয়তো কেউ এমন করেছে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএমএ’র সাধারন সম্পাদক ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু সাঈদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ডাঃ হানিফ একজন চিহ্নিত জামায়াত সমর্থক। কে বা কারা তার কক্ষের তালা নষ্ট করে ফেলে। পরে আমরা তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রব বলেন, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা বুঝতে পারছি না। আমরা চেষ্টা করছি দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করতে।