Main Menu

ডাকাতি শেষে ট্রেনে থেকে ফেলে হত্যা,মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার হওয়া দু’জনের জবানবন্দি

+100%-

মনিরুজ্জামান পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস কমিউটারে ডাকাতি শেষে ট্রেন থেকে ফেলে তিন যাত্রীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজাম মুনীরার আদালতে গ্রেপ্তারকৃত দু’জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।  জবাববন্দি দেওয়া দুজন হলেন,ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মো. আল-আমিন মিয়া প্রকাশ কান কাটা আল-আমিন ও নরসিংদী (বর্তমান ঠিকানা নোয়াখালীর মাইজদি) মো. শুক্কুর আলী।

তাদের দেয়া তথ্য মতে , ট্রেনে ডাকাতিই তাদের পেশা। এ কাজে তাদের একটি বড় গ্রুপ রয়েছে। গাজীপুরের টঙ্গীতে তাদের প্রধান আস্তানা। পুলিশ আর পাবলিকের ঝামেলা এড়াতেই তারা ডাকাতি শেষে যাত্রীদেরকে ফেলে দেয়। তিতাস ট্রেনে ডাকাতি শেষে একেকজন মাত্র ১২শ’ টাকা করে পায়।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ’মূলত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় নিহত মো. সেলিমের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। জবানবন্দিসহ জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ঘটনার সঙ্গে অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে’।
প্রসঙ্গত, এ বছরের ৩১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর এলাকায় তিতাস কমিউটার ট্রেন থেকে ডাকাতরা পাঁচ যাত্রীকে ফেলে দিলে চারজন মারা যায়। এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় নিহতদের পক্ষে মামলা দায়ের করা হয়।






Shares