ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে বাজার বসতে যাচ্ছে
আগরতলা (ত্রিপুরা), ২৪ ফেব্রুয়ারি: আগামী অর্থ বছরে (২০১২-১৩) ত্রিপুরা-বাংলাদেশ সীমান্তে বর্ডার হাট বা বাজার বসতে যাচ্ছে।
ত্রিপুরা সরকার ও বাংলাদেশের বণিক সভার বহু দিনের দাবি ছিল এই অঞ্চলে বর্ডার হাট করার জন্য। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি না দেবার কারণে এই দাবি পূরণ হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বর্ডার হাট করার ব্যাপারে রাজি হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী আনন্দ শর্মা জানিয়েছেন, আগামী অর্থ বছরেই ত্রিপুরাতে বর্ডার হাট করার জন্য তারা অর্থ এবং প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেবেন।
তিনি বলেন, বহুদিন ধরেই এই অঞ্চলের মানুষ বর্ডার হাট করার দাবি জানিয়ে আসছেন। এই দাবির সঙ্গে তিনি সহমতও পোষণ করেন।
কিছুদিন আগেই মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্তে কেন্দ্রীয় সরকার একটি বর্ডার হাট গড়েছে। আগামী অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আরও একটি সীমান্ত বাজার করা হবে ঐ রাজ্যে। জানিয়েছেন আনন্দ শর্মা।
মেঘালয়ে প্রথম এই অঞ্চলে বর্ডার হাট গড়ে তোলা হয়। কিন্তু মেঘালয়ের বর্ডার হাট বা সীমান্ত বাজার খুব বেশি জনপ্রিয় হয়নি বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এর অন্য কারণও আছে। মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতিগত বহু দূরত্ব আছে। ভাষা তার অন্যতম। তাছাড়া ঐ দুই জায়গার খাদ্যাভ্যাসের মধ্যেও বহু পার্থক্য বিদ্যমান। ফলে সেখানে এই ধরনের বাজার জনপ্রিয় হবার পক্ষে কিছু সমস্যা আছে।
কিন্তু ত্রিপুরায় সে সমস্যা নেই। ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ ভাষা-সংস্কৃতিগত ভাবে অনেক কাছে। এখানে সীমান্ত বাজার জনপ্রিয় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ত্রিপুরা সরকার কেন্দ্রের কাছে উত্তর, ধলাই, পশ্চিম এবং দক্ষিণ জেলায় একটি করে মোট চারটি বর্ডার হাট গড়ার কথা বলেছিল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আগামী অর্থ বছরেই সীমান্ত বাজার বা বর্ডার হাট গড়ার কথা বললেও কয়টি এ ধরনের বাজার গড়া হবে তান বলেননি।