আগামী এক মাসের মধ্যে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়িত না হলে কঠোর কর্মসূচি —কমিউনিস্ট পার্টি



গতকাল বুধবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলা কমিটির উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলের আসন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রীর নিকট স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। কাউতলী মোড় থেকে শতাধিক নেতাকর্মী লাল পতাকার মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে এক পথসভা করে।
জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক কমরেড আছমা খানম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড এড. সৈয়দ মোঃ জামাল, তেল-গ্যাস, বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সদস্য সচিব এড. মোঃ নাসির মিয়া, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আহমেদ হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য কমরেড অসিত পাল, কমরেড নীতিশ রঞ্জন রায়, কমরেড শাহজাহান সোহেল, কমরেড আল মামুন, ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান আদর প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া – ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া – চট্টগ্রাম যাতায়াতের জন্য ২০০১ সাল থেকে ৬৯৮টি আসন সংখ্যা বরাদ্দ ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশনের জন্য অন্যায্য বিবেচনায় স্থানগুলোতে যাতায়াতের জন্য বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা ৬৯৮টি হতে কমিয়ে ৪৩০টি করা হয়েছে। যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাসীর জন্য চরম দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, স্মারক লিপিতে উল্লেখিত পাঁচ দফা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের দাবি ও ন্যায্য দাবি। আগামী এক মাসের মধ্যে স্মারক লিপিতে উল্লেখিত দাবি না বাস্তবায়িত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে নিয়ে আমরা কঠোর কর্মসূচী পালনে বাধ্য হব। পাঁচ দফা দাবি হলো-
১। আসন সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
২। বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৯৮ এর দ্বিগুণ করতে হবে।
৩। বুকিং কাউন্টার বাড়াতে হবে এবং টিকেট কাউন্টার হতে টিকেট সরাসরি যাত্রীগণের হাত পৌছাতে হবে। টিকেট কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে।
৪। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে কালনী এক্সপ্রেস ও বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতী দিতে হবে।
৫। রেলষ্টেশনের সেবার মান ও পরিবেশ উন্নয়ন করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ স্মারক লিপিতে গণস্বাক্ষর করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের জনগণের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামী যে কোন আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান।