হালদারপাড়ায় বাসায় ঢুকে ছুরিকাঘাত: পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চোরকে গণধোলাই!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদার পাড়ায় পাঁচতলা ভবনে উঠে মনিরুজ্জামান নামের একজন বাড়ির মালিককে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় এক চোরকে গণধোলাই দিয়েছে উত্তেজিত এলাকাবাসী।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১১টার দিকে হালদার পাড়া ও সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ৯৯৯ এ ফোন দিলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত বাড়ির মালিককে ও চোরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশি হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে উত্তেজিত জনতা আবারও ওই চোরকে গণধোলাই দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ৩ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রোববার রাত ১০টার দিকে শহরের হালদার পাড়ায় পাঁচতলা একটি ভবনে দাড়ালো অস্ত্রসহ প্রবেশ করে বাবু মিয়া নামে এক চোর। পরে ওই ভবনের মালিক মনিরুজ্জামানকে ছুরিকাঘাত করে। এতে মনিরুজ্জামান গুরুতর আহত হন। এ সময় বাড়ির বাসিন্দারা চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ওই চোরকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয়রা বাবুকে সেখানে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
পরে পুলিশ আহত মনিরুজ্জামান ও বাবু মিয়াকে চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এসময় উত্তেজিত জনতা আবারও জড়ো হয়ে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন। এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন যুবককে আটক করেছেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. আরিফুজ্জামান হিমেল জানান, আহত মনিরুজ্জামানের অবস্থা সংকটাপন্ন। তার শ্বাসনালীতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। চোরের হাত ও মাথায়ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তাকে হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে চিকিৎসা ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুর রহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আহত চোরকে আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গণধোলাইয়ের ঘটনায় ৩ জনকে আটক হয়েছে। সোমবার দুপুরে আটককৃত ৩জনকে আদালতে পাঠানো হয়।