Main Menu

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হৃদয় অপহৃত হয়নি, মোটরসাইকেল কিনতে অপহরণের নাটক

+100%-

67786

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কলেজ ছাত্র মনিরুজ্জামান হৃদয়কে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সে অপহরণের শিকার হয়নি। মোটরসাইকেল কেনার টাকা জোগাতে হৃদয় নিজেই এ অপহরণ নাটক সাজায়। এ ঘটনায় সৌমেন নামের হৃদয়ের এক বন্ধুকেও পুলিশ আটক করেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়ার বাসিন্দা জেলা ফার্নিচার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান হৃদয় এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বাবার কারখানায় যাওয়া-আসা করত। গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় বিরসারের কারখানায় থাকা হৃদয়কে বাড়ি যেতে বলেন তার বাবা। এর পর থেকে হৃদয়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।

নজরুল ইসলাম জানান, ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে প্রথমে হৃদয় কথা বলে। এ সময় হৃদয় জানায়, তাকে অপরিচিত লোকজন অপহরণ করেছে। পরে অপহরণকারীরা হৃদয়ের কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় তাকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি রাতেই থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানানো হয়।

পুলিশ ও হৃদয়ের পরিবারের লোকজন জানায়, হৃদয়কে অপহরণের কথা বলে দুই দফায় ৭১ হাজার টাকা নেওয়া হয়। গত রবিবার সন্ধ্যায় আবারও ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। ওই টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য একটি নম্বর দেওয়া হয়। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানা পুলিশকে জানায়। অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পুলিশ ঢাকার ভাটারা এলাকার বিকাশের ওই দোকানিকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করে। ওই দোকানি তখন টাকা নিতে আসা দুজনকে আটকে রাখেন। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার পুলিশ বিষয়টি ভাটারা থানার পুলিশকে জানায়। পরে ভাটারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনকে আটক করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ওসি মো. মঈনুর রহমান বলেন, ‘দোকানিকে পুরো ঘটনা জানিয়ে আমরা ভাটারা থানা পুলিশের সহায়তা চাই। ভাটারা থানা পুলিশ পরে সেখানে গিয়ে হৃদয় ও সৌমেনকে আটক করে। পরে রাতেই আমরা সেখানে গিয়ে হাজির হই। হৃদয় জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, মোটরসাইকেল কেনার টাকা জোগাড় করতেই সে এ অপহরণ নাটক সাজিয়েছে।’






Shares