বোর্ডিং মাঠের পুকুরে স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ : সেই টিউশন শিক্ষকই খুন করেছিলেন প্রেমিকা ছাত্রীকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রী আশিকা জাহান সিপা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন প্রেমিক গৃহশিক্ষক বাইজিদ সরকার। রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
জবানবন্দির বরাতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, সিপা জেলা শহরের গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুল থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। সে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের শাহিন মিয়ার মেয়ে। তারা পরিবারসহ জেলা শহরের মুন্সেফপাড়ায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করত। গত তিন বছর ধরে তাকে টিউশন শিক্ষক ও প্রেমিক বাইজিদ সরকার বাসায় গিয়ে পড়াতো। এর মধ্যে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাদের এক স্বজন দেখে ফেললে সিপাকে তার পরিবার গালমন্দ করে। তখন সে বাইজিদকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। গত ২৮ আগষ্ট গভীর রাতে সিপা তার প্রেমিকের সাথে মুন্সেফপাড়া বোর্ডিং মাঠ পুকুর পাড়ে দেখা করতে যায়। তখন বাইজিদ এত রাতে বাসা থেকে বের হওয়ায় খারাপ মেয়ে বলে গালাগাল দেয়। এর জের ধরে সিপা ও বাইজিদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায় বায়জিদ সিপার মাথায় ধাক্কা দিলে তা পুকুর পাড়ে থাকা কড়ই গাছের সাথে লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই সীপার মৃত্যু হয়। পরে লাশ পানিতে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বায়জিদ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির জানান, রিমান্তে থাকা কালীন সময়েই সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। সে সময় তার দেখানো মতে পুকুরের বিভিন্ন স্থান থেকে সিপার ব্যবহৃত মোবাইল ও বায়জিদের জুতা উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে স্কুল শিক্ষার্থী সিপার মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিপার মাথার পেছনে গভীর আঘাত রয়েছে।