ইউপি নির্বাচন:: সিন্দুরা ও বিল কেন্দুয়াই বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পুণরায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবী
নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নবাসীর প্রতিবাদ সভা
গত ২৮ মে শনিবার পঞ্চমধাপে অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাধীন নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিল কেন্দুয়াই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিরা। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ চলাকালে লাইনে দাঁড়ানো ভোটার ও চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শাহ আলম এর এজেন্টদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বের করে দেয়। এরপর বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দল বেঁধে প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী নাজমুল এর আনারস প্রতিকে স্বাক্ষর বিহীন ব্যালট পেপারে অবৈধ সিল মেরে বাক্সে ঢুকানো হয়। পরে একইভাবেসিন্দুরা কমিউনিটি বিদ্যালয়ে আনারস প্রতিকের বহিরাগত সমর্থকরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে।
এর প্রতিবাদে গতকাল ৩১ মে মঙ্গলবার বিকেলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে কালিসীমা উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে সহস্রাধিক জনতার উপস্থিতিতে বিরাট প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি তার বক্তব্যে নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করেন। তিনি উক্ত ২ কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল বাতিল করে সিন্দুরা ও বিল কেন্দুয়াই বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে পুণরায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এর দাবী জানান নির্বাচন কমিশনের প্রতি।
এ সময় সভায় উপস্থিত এলাকাবাসী হাত তুলে সমস্বরে সমর্থন জানান। মোহাম্মদ শাহ আলম তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর আত্মীয় স্বজন ক্ষুব্ধ হয়ে তার বাড়িঘর ভাংচুর করার পরও এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের হওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি নিঃশর্তভাবে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা এবং বাদীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মডেল থানার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
সভায় মডেল থানার ওসি’র পক্ষে উপস্থিত হওয়া প্রতিনিধি সাব ইন্সপেক্টর মোঃ আবদুল আজিজ তার বক্তব্যে আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ করে আইনগত পন্থায় অগ্রসর হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ ও নিন্দা করে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসমাঈল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ ইসমাঈল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, ফুল মিয়া, আবুল কাসেম, আরজু মেম্বার, রতন মেম্বার, ইদন মেম্বার, সরল খাঁ মেম্বার, মাজু মিয়া মেম্বার, মুসা মিয়া মেম্বার, আব্দুল কুদ্দুস মেম্বার, আব্দুল খালেক, ইউনুস মিয়া প্রমুখ।