নাসিরনগরে সহিংসতা:: রসরাজকে মুক্তির আহ্বান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের



ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের পর দায়ের করা মামলার একটিতে গ্রেপ্তার যুবক রসরাজ দাসকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
রসরাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর একটি ছবি পোস্ট করার অভিযোগ তুলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরের হামলার ওই ঘটনা ঘটেছিল। এরপর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় রসরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নাসিরনগর থানার উপপরিদর্শক কাউসার হোসেন এই মামলা করেন। রসরাজ একজন মৎস্যজীবী।
গত বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলেছে, রসরাজকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে। তিনি ফেসবুক পোস্টের জন্য দায়ী নন, পুলিশ সম্প্রতি এই তথ্য দিলেও এখনো মুক্তি পাননি তিনি। ৩ জানুয়ারি তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী জামিন শুনানি হবে।
অ্যামনেস্টি জানায়, অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে গত ২৮ নভেম্বর পুলিশ একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, রসরাজ দাস ওই ছবি ফেসবুকে আপলোড করেননি। তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে অন্য কেউ ছবিটি প্রকাশ করে।
অপর এক প্রতিবেদনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও জানিয়েছে, ওই ছবি প্রকাশের সঙ্গে রসরাজ দাসের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। দোষ না থাকা সত্ত্বেও রসরাজ দাসকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। এখনো তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।