মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিক্রিয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার পার্লামেন্ট।
বাতিল হচ্ছে সু চির কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব
মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চির সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিল হতে যাচ্ছে। কানাডার পার্লামেন্টে তার নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে।
২৮ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিক্রিয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডার পার্লামেন্ট।
সু চিকে কানাডাতে যে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটি বাতিলে পার্লামেন্টে প্রস্তাব ওঠার আগের দিন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, সু চিকে নাগরিকত্বের সম্মান জানানোর প্রয়োজন আর আছে কি না, তা পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। অবশ্য সু চির নাগরিকত্ব বাতিলের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কী হবে সে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদিও এ পদক্ষেপের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মানুষের দুর্দশা লাঘব হবে না বলে ট্রুডো উল্লেখ করেন।
কানাডাতে এ পর্যন্ত মাত্র ছয়জন মানুষকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে এটি ছিল সু চির জন্য অত্যন্ত বিরল এক সম্মান।
উল্লেখ্য, গত মাসে জাতিসংঘের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেশটির শীর্ষ ছয়জন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত এবং বিচার হওয়া দরকার। নির্যাতনের শিকার হয়ে গত এক বছরে দেশ ছেড়ে অন্তত সাত লাখ মানুষ পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।
এর আগে অক্সফোর্ডসহ ব্রিটেনের কয়েকটি শহর সু চিকে দেওয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নেয়। অথচ মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তার ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯১ সালে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়