Main Menu

ফেসবুকের কল্যাণে বাঞ্ছারামপুর থেকে মা-বাবার বুকে প্রতিবন্ধী লিমন

+100%-

B.baria20160219130105
হারিয়ে যাওয়ার ৬ দিন পর লিমন মিয়া (১৪) নামে শারিরীক প্রতিবন্ধী এক কিশোর তার মা-বাবার কাছে ফিরে গেছে। ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি দেখে তার এক আত্মীয় কিশোরটির সন্ধ্যান পান।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে লিমন মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে তার মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিখোঁজ হওয়া লিমন নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) কামারুজ্জামান তালুকদার জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে হারিয়ে যায় প্রতিবন্ধী লিমন মিয়া। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন লিমনের বাবা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির পাশের রাস্তায় অচেনা একটি ছেলেকে দেখতে পান বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের কান্দাপাড়া গ্রামের ছিদ্দিক মিয়া নামে এক কৃষক। পরিচয় জানতে চাইলে সে শুধু তার নাম লিমন বলে জানায়। বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে সে শুধু মায়ের কাছে যাওয়ার কথা বলে। এরপর ওইদিন বিকেলে তিনি লিমনকে থানায় নিয়ে যান।

ছেলেটিকে তার মা-বাবার কাছে পৌঁছে দিতে পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এলাকায় মাইকিং করান ছিদ্দিক মিয়া।

ওই দিন ছিদ্দিক মিয়ার প্রতিবেশী ফারুকুল ইসলাম বুলবুল নামে এক যুবক কিশোর লিমনের ছবি ফেসবুকে আপলোড করে একটি স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাস দেখে বৃহস্পতিবার রাতে ফারুকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিশোর লিমনের এক আত্মীয়। এই কয়েক দিন লিমন কৃষক ছিদ্দিক মিয়ার বাড়িতেই ছিল। পরে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মা-বাবার কাছে তুলে দেওয়া হয় তাকে।

যোগাযোগ করা হলে কৃষক সিদ্দিক মিয়া বলেন, লিমনকে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি খুশি। খুব চিন্তায় ছিলাম ছেলেটিকে তার বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারবো কিনা। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া লিমন তার বাবা-মাকে ফিরে পেয়েছে।

লিমনের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার ছেলে শারিরিক প্রতিবন্ধী। সে বাড়ির বাইরে খুব একটা বের হয় না। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে কয়েকটি ছেলের সঙ্গে বাসা থেকে একটু দূরের মাঠে খেলতে যায়। আধা ঘণ্টা পর জানতে পারি ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর এলাকায় মাইকিং করি। কিন্তু সন্ধ্যান পাইনি। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জ থানায় একটি জিডি করি। এরপর ফেসবুকে ছবি দেখে আমার এক আত্মীয় লিমনের সন্ধ্যান জানান। এরপর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে বাঞ্ছারামপুরে যোগাযোগ করি।

শুক্রবার সকালে ছেলেকে ফিরে পাই। যারা আমার ছেলেকে আশ্রয় দিয়েছে, আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে, তাদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো— জানালেন ওই কিশোরের বাবা।






Shares