বাঞ্ছারামপুর:: চালকের অভাবে কাজে আসছে না নৌ–অ্যাম্বুলেন্স
ডেস্ক ২৪:: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৌ-অ্যাম্বুলেন্স দুই বছরেও কাজে আসেনি। চালক না থাকায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এতে গ্রামের গুরুতর অসুস্থ রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি এর ইঞ্জিনও বিকল হয়ে গেছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ওই নৌ-অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে একজন রোগী পরিবহন করা যায়। প্লাস্টিক ফাইবারের তৈরি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স তিতাস নদের বাঞ্ছারামপুর থানার নৌ-ঘাটে বাঁধা রয়েছে। নৌ-অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হলেও কোনো চালক না থাকায় আজ পর্যন্ত এটি কাজে লাগানো যায়নি।
গতকাল গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি থানার নৌ-ঘাটে শিকল দিয়ে বাঁধা রয়েছে। সাদা রঙের নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি ধুলাবালুতে একাকার হয়ে আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভান্ডাররক্ষক নূরুল আমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকায় নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়েছে। তাই এটি চালু করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাঞ্ছারামপুরে নৌপথ প্রায় ৬০ কিলোমিটার (শুষ্ক মৌসুমে ৪০-৪৫ কিলোমিটার)। আর সোনারামপুর, মানিকপুর, ফরদাবাদ, দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ১৯-২০টি গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ নৌপথে চলাচল করে। এসব গ্রামে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হয়।
দশদোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাইনুদ্দিন বলেন, ‘নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি চালু করতে পারলে যে গ্রামে কোনো রাস্তা নেই, সেই গ্রামের রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি আমাদের শুধু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো চালক দেয়নি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সিভিল সার্জন হাসিনা আকতার বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি নৌ-অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে জানি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’