আল্লাহর রহমত অনেক বড়



আগেই বলে নেই আমার পক্ষে এত্ত এত্ত বড় লেখা সম্ভব না… … পুরা কপি পেস্ট প্রোডাকশন… ……
কপি পেস্ট করার কারন আছে। সেটাই বলি অল্প কথায়। বেশ কিছু মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগ হয়েছে, তার মাঝে অধিকাংশ মসজিদেই একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি ইমামগণ মানুষকে কেন জানি কেবল ভয়ই দেখান… … “এইটা করলে এই ভয়ানক শাস্তি হবে ওইটা করলে ওই ভয়ানক শাস্তি হবে… এত বছর আগুনে পুড়তে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি… …।”
খুব কমই বলা হয় যেমনটা বলা হয়েছে নিচের এই লেখাটায়। যদিও প্রকৃত উৎস দেওয়া নেই লেখায়। কিন্তু এইটা পড়ে মনে হয়েছে এভাবে সুন্দর করে উপস্থাপন করলে ধর্মের প্রতি মানুষের ভয় যেমন কাটিয়ে ওঠা সম্ভব তেমনি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়িও কমে যাবে।
আমার মতামত হয়তো অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে, সহজ – সাভলীল ও শালীন ভাষায় যেকোন ধরণের সমালোচনা কিংবা মতামত জানাতে পারেন যে কেউ… ধন্যবাদ। জুম্মা মুবারক
হযরত মুসা (আঃ) একবার আল্লাহ তা’আলার কাছে আরজ করলেন,হে-দয়াময় প্রভু! আমার উম্মতের মধ্যে কে সবচেয়ে’খারাপ ব্যক্তি আমাকে দেখিয়ে দাও। অদৃশ্য থেকে আওয়াজ এলো,ঠিকাছে আগামীকাল সকালে তুমি পথের ধারে বসে থেকো। যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম এই পথ অতিক্রম করবে, সে ব্যক্তি-ই হলো তোমার উম্মতের সবচেয়ে’ খারাপ।
হযরত মুসা (আঃ) ঠিক সময়মত নির্দিষ্টস্থানে বসলেন। কিছুক্ষণ পর দেখলেন এক ব্যাক্তি একটি ছোট ছেলে কুলে করে তাঁকে অতিক্রম করলো। হযরত মুসা (আঃ)তাকেদেখে মনে মনে বললেন, ওহ্ এইব্যাক্তি-ইআমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে ‘খারাপ।কিছুক্ষণ পর হযরত মুসা (আঃ)-র ইচ্ছা হলো তাঁর উম্মতের সবচেয়ে’ ভালো ব্যাক্তিকে দেখতে। আল্লাহ’র নিকট এবার আরজ করলেন, হে- দয়াময় প্রভু ! এবার আমার উম্মতের মধ্যে কে সবচেয়ে’ ভালোব্যাক্তি আমাকে দেখাও।
আওয়াজ এলো, হে- মুসা! পথের ধারে বসো, সন্ধ্যা বেলায় যে ব্যাক্তি সর্বপ্রথম আসবে, সে-ই হলো তোমার উম্মতের মধ্যে সবচে’ভালো। সন্ধ্যা বেলায় হযরত মুসা (আঃ)নির্দিষ্টস্থানে বসলেন।
কিছুক্ষণ পর দেখলেন সকালের সে ব্যাক্তি-ই ছোট ছেলেকে কোলে করে ফিরতিপথে আসছে। তাকে দেখে হযরত মুসা (আঃ)অত্যন্ত অবাক হলেন এবং গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন।হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহ’র নিকট আরজ করলেন, হে-দয়াময় প্রভু! আমি একী দেখতেছি! সকালে যে সবচেয়ে ‘খারাপ ছিলো, সন্ধ্যায় সে কিভাবে সবচেয়ে ‘ভালো হয়ে গেলো? অদৃশ্য থেকে মহান স্রষ্টা আল্লাহ উত্তর দিলেন, হে- মুসা!সকালে যখন এই ব্যাক্তি ছেলেকে সাথে নিয়ে তোমাকে অতিক্রমকরে জঙ্গলে প্রবেশ করলো, তখন ছেলে তাকে প্রশ্ন করে ছিলো, বাবা! এই জঙ্গল কতবড়?
সে ব্যক্তি উত্তরে বলেছিলো,অনেক বড়।ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, বাবা! জঙ্গল থেকে কি বড় কোনো কিছু আছে? তখন বাবা বলেছিলো, হ্যাঁ বাবা! ঐপাহাড়গুলো জঙ্গল থেকে বড়। ছেলে পুনরায় প্রশ্ন করলো,পাহাড় থেকে কি বড়কিছু আছে?
বাবা বললো, আছে, এই আকাশ। ছেলে আবার প্রশ্ন করলো, আকাশ থেকে কি বড় কিছু আছে? সেই ব্যক্তি বললো,হ্যাঁ, আমার পাপ এই আকাশ থেকেও বড়। ছেলে বাবার এ উত্তর শোনে বললো,বাবা! তোমার পাপ থেকে বড় কি কোনো কিছু নেই?
তখন সেই ব্যক্তি চিৎকার দিয়ে কান্না করে লজ্জিত হয়ে গম্ভীর সুরে বললো, আছে বাবা! আমার পাপ থেকেও আল্লাহ’র রহমত অনেক বড়। হে-মুসা! এই ব্যক্তির পাপের অনুভূতি ও অনুশোচনা আমার এতো পছন্দ হয়েছে যে,আমি তাঁকে তোমার উম্মতের সবচেয়ে ‘খারাপ ব্যক্তিকে সবচেয়ে’ ভালোব্যক্তি বানিয়ে দিয়েছি।আল্লাহু আকবর।
হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকলকে পিছনের গুনাহের কথা সব সময় স্বরণ করে সামনের দিনগুলোকে সত্যপথে চলার তাওফিক দান করো।—–আমিন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং সেই সময় এর মূসা(আঃ) এর সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তিকে যে ভাবে ভালো বানিয়ে দিলেন ঠিক যেন আমাদের ও ভালো বানিয়ে দেন,” আল্লাহুর রহমত অনেক বড়..
হে মূসা (আঃ) এই ব্যক্তি পাপের অনুভূতি ও অনুশোচনা আমার উম্মতের সবচেয়ে খারাপ ব্যক্তি সবচেয়ে ভালো ব্যক্তি বানিয়ে দিয়েছি, – আল্লাহ আকবার।হে আল্লাহ তুমি আমাদের সকলকে পিছনের গুনাহের কথা সব সময় স্বরন করে সামনের দিনগুলোকে সত্যপথের চলার তৌফিক দান করো।
লেখাটা eibarta.com নামের সাইট থেকে কপি করা। আর আমি কোনভাবেই সাইটের কারো সাথে যুক্ত নাহ। এই লেখাটা পড়ে ভালো লেগেছে তাই শেয়ার করলাম।