বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী প্রিন্স মুসার ভিডিও ডকুমেন্টরি
জনাব মুসা বিন শমসের ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান যিনি বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে পরিচিত। তার ডাক নাম প্রিন্স মুসা বলা হয়। তিনি আন্তর্জাতিক অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত। পৃথিবীর শীর্ষ ও বহুল প্রচারিত ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুযায়ী বর্তমানে তিনিই বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। ড. মুসা ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে অনুদান দিতে চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। লেবার পার্টির টনি ব্লেয়ার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য প্রিন্স মুসার প্রস্তাবিত পাঁচ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রত্যাখ্যান করেন। বাইরে বের হলেই চারজন নারী দেহরক্ষীসহ ২৫ জনের বিশাল বহর নিয়ে রাজকীয় কায়দায় চলেন বাংলাদেশের এই আলোচিত শীর্ষ ধনী। মুসা বিন শমসের বাংলাদেশের ‘বিজনেস মোগল’ নামে পরিচিত। তাকে বলা হয় ‘প্রিন্স মুসা’। বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুযায়ী বর্তমানে তিনিই বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তার মূল সম্পত্তি প্রায় ১২ বিলিয়ন ইউএস ডলারের ওপরে। বিভিন্ন সুত্রমতে, এ উপমহাদেশে তিনি শীর্ষস্থানীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি, যিনি বিলিয়ন পাউন্ড উপার্জন করছেন ট্যাংক, যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র বেচাকেনার ব্যবসা করে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী ও ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মুসা বিন শমসের (প্রিন্স মুসা) দুদকে এসেছিলেন একই কায়দায় । এ যেন সিনেমার দৃশ্যকেও হার মানায় । সেদিন তার সঙ্গে ছিল বিশাল গাড়িবহর। যার মধ্যে কালো রঙের কোট পরিহিত ১০ পুরুষ ও ৪ জন নারী দেহরক্ষী ছিলেন । সুত্র বলছে, মুসার নিরাপত্তায় অস্ত্রধারী প্রায় ৮০ জন দেহরক্ষী আছে । যার মধ্যে ৪০ জন পুরুষ এবং ৪০ জন নারী সদস্য ।
দুদকে তার সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে প্রিন্স মুসা সেদিন ব্যাখ্যা করেছিলেন , ‘আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের কর্মকর্তারা খুব খুশি। আমিও খুশি।’ তিনি বলেন, ‘আমি অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে কোনো টাকা সরাইনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট।’ তার ভাষায়, ‘আমার বিরুদ্ধে আগেও কোনো অভিযোগ ছিল না। এখনো নেই। ভবিষ্যতেও থাকবে না’। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সবাই কমবেশি জানেন। এদেশ দাঁড়িয়ে আছে রেমিট্যান্সের ওপর। এই রেমিট্যান্স আনার ব্যবস্থা করলো কে তা আপনারাই জানেন। আমি ৪০ বছর ধরে জনশক্তির ব্যবসা করছি।’
সূত্র আরো জানায়, ড. মুসা বিন শমসের অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত। পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পেও এককভাবে অর্থায়নের কথা বলেও আলোচনায় আসেন তিনি। বিশ্বব্যাংক ঋণ প্রত্যাহার করে নিলে মুসা বিন শমসের এতে ৩ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের কথা বলেন। বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী ড. মুসা বিন শমসের , দেখে নিন এ শীর্ষ ধনীর রাজকীয় জীবন যাপন নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি