প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন ।”বাংলা”ই কি জানে ? তার এই ”বাঘিনী”র খবর ।
দুয়েকটি ব্যতিক্রম বাদে , বাংলাদেশে মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয় না । মেলেনা মেধা বিকাশে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা । তাই মেধাবীরা পাড়ি জমান বিদেশে । এরকম প্রবাসী বা অভিবাসী বহু বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ বিশ্বের অগ্রগতিতে ইতোমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এবং রেখে যাচ্ছেন ।
বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের বাইরে আরও অনেক গুণী তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে মেধার সাক্ষর রেখে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করে যাচ্ছেন ।
এরকমই একজন – রাজশাহীর মেয়ে রিতা ।
বিশ্ব গণমাধ্যম ফলাও করে প্রচার করেছে বাংলাদেশী বংশদ্ভুত রাশিয়ার এই জিমন্যাস্টিক কন্যার কথা । প্রতিবেদনগুলিতে তাকে উল্লেখ করা হচ্ছে ‘বাংলার বাঘিনী’নামে ।
আর খোদ ”বাংলা”ই জানেনা তার এই ”বাঘিনী”র খবর ।
রিদমিক জিমন্যাস্টিকের ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিংয়ে রিতার অবস্থান বর্তমানে ২ নম্বরে ! যা কিনা সত্যি গর্বের ।
২০১৩ সালে রিতার এমন গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যের কারণে তাকে নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায় রাশিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে। রাশিয়ার বিখ্যাত ক্রীড়া ম্যাগাজিন ইউরো স্পোর্টস এর প্রচ্ছদে উঠে আসে রিতার সাফল্যের গল্প।
তার বাবা প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজশাহীর ছেলে । ১৯৮৩ সালে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে তিনি রাশিয়া যান । পরে সেখানেই স্থায়ী হয়ে যান । ১৯৯৫ সালের ১ নভেম্বর রাশিয়ার মস্কোতে জন্ম নেয়া বাংলাদেশী বংশদ্ভুত এই রিতাকে বিশ্ব গণমাধ্যম অন্য এক নামে চেনে, সেখানে তার নাম‘মার্গারিতা মামুন’।
২০০৫ সাল থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচরণ তাঁর । রিতা অনেকগুলো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জুনিয়র পর্যায়ে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ।
সাফল্য: ( প্রথম কমেন্ট দ্রঃ । )
একসময় বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক অংগনে অংশ নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন এই ক্রীড়াবিদ ।
জবাবে বাংলাদেশ জিমন্যাসটিক ফেডারেশন – এ ধরণের একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের যে ধরণের সুযোগ-সুবিধা দেয়া দরকার তা বাংলাদেশ জিমন্যাসটিক ফেডারেশনের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তার ভার বহনে অপারগতা প্রকাশ করে ।
পরিশেষে রাশিয়ার হয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রিতা ।
গো এহেড রিতা ।