নির্বাচনী এলাকায় জয়নাল আবদিন ফারুককে নিয়ে বিতর্ক
ডেস্ক ২৪:নোয়াখালীর সেনবাগে নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি দলীয় এমপি জয়নুল আবদিন ফারুককে নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি তার ফাঁস হওয়া ‘ফোনালাপ’ নিয়ে এ বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ ছিল, স্থানীয় এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তার ‘পরোকিয়ার’ সম্পর্ক রয়েছে। ওই ফোনালাপে তাদের কথাবার্তায় শোনা গেছে। ফারুকের বিরুদ্ধে এ বিতর্কে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেছেন তার অনুগামীরা। আগামী নির্বাচনে ফারুককে প্রার্থী করা হলে অনিবার্যভাবে দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। সূত্রে জানা গেছে, তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-২ আসনে সেনবাগের ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে তার ফোনালাপের রেকর্ডটি বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। মুঠোফোনে, সিডিতে, ইন্টারনেট এবং ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে রগরগে ভাষার ওই কথপোকথন। এছাড়া লিফলেটের মাধ্যমে কিংবা উড়ো এসএমএস দিয়ে ফোনালাপের কথপোকথনগুলো তরুণ সমাজের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এসব শুনে রীতিমত অবাক হচ্ছেন। এতদিন তারা ফারুকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের কথা শুনেছেন। কিন্তু প্রমাণ পাননি। এখন তারা নিজ কানে শুনছেন। সেনাবাগে বিএনপি বরাবরই শক্তিশালী। কিন্তু ওই উপজেলার সভাপতি জয়নুল আবদিন ফারুকের এসব ‘কুকর্মের’ কারণে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। তারা এ ঘটনায় ফারুকের ওপর ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, এমন একজনকে সংসদ সদস্য বানিয়েছি যার নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ। যার প্রমাণ তো হাতেনাতেই পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে তার অনুগামীরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। তারা মানুষের কাছে এটি মিথ্যা প্রমাণ করতে পারছেন না। কারণ ওই ফোনালাপের কণ্ঠের সঙ্গে ফারুকের কণ্ঠের হুবহু মিল আছে। সেনবাগের একজন বিএনপি নেতা জানান, ‘জয়নুল আবদিন ফারুকের নৈতিকতা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। এবার হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। এটা নিয়ে আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেছি। তাকে নিয়ে আগামীতে ভোট যুদ্ধ করতে গেলে ভোটারদের বড়সড় প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে বিরোধীদলের সাবেক প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের বিরোধীরাও এই ইস্যুকে কাজে লাগাতে চাইছেন। যারা ফারুকের নৈতিকতা বিরোধী ইস্যু নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাদের মদদ দিচ্ছে এ গোষ্ঠী। কিন্তু ফারুকের ঘনিষ্ঠজনরা এ ঘটনাকে অসত্য প্রমাণ করতে পারছেন না। অন্যদিকে জয়নুল আবদিন ফারুক বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার আগে এ ঘটনায় মুখ খোলেননি এটি যে অসত্য তা প্রমাণ দিতেও পারেননি ফারুক। যা তার ঘনিষ্ঠদের মধ্যেও সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। গত মে মাসে জয়নুল আবদিন ফারুকের বিরুদ্ধে ‘পরোকিয়া প্রেমের’ অভিযোগ ওঠে। এর পরই বিরোধীদলের চিফ হুইপের পদ হারান তিনি। তার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত চিফ হুইপের দায়িত্ব পান শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানি। পরে ২২ মে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান ফারুক। বর্তমানে তিনি মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। |