দুবাইয়ে বাংলাদেশি এক ট্যাক্সি চালকের সততা
ডেস্ক ২৪:আব্দুল হালিম নামে একজন টেক্সি ডাইভার সততার পরিচয় দিয়েবাংলাদেশের মান উজ্জল করেছেন।আব্দুল হালিম যিনি টেক্সি চালাতে গিয়ে। টেক্সিতে ১.২ মিলিয়ন দিরহাম যার মূল্য বাংলাদেশের টাকা সমান ২,৬৪,০০০০০/= টাকা প্রায়। ডেস্ক ২৪: যাত্রী নামিয়ে গাড়ি পরিস্কার করতে গিয়ে দেখলেন গাড়িতে পড়ে আছে একটি ব্যাগ। খুলতেই মিলল টাকা। কম নয়, দুই লাখ দিরহাম। সঙ্গে প্রায় এক মিলিয়ন দিরহাম মূল্যমানের স্বর্ণের গহনা। চিন্তায় পড়লেন চালক। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গেলেন কাছের পুলিশ স্টেশনে। মালিককে খুঁজে বের করে বুঝিয়ে দিলেন টাকা ও গহনা। এটি কোনো গল্প নয়, সত্যি। আর এই কল্পনাতীত ঘটনাটি ঘটিয়েছেন দুবাইয়ে কর্মরত বাংলাদেশি এক টেক্সি চালক। ৩১ বছর বয়সী চালক আব্দুল হালিমের বক্তব্য-‘যে সম্পদ আমার নয় তা কেন আমি রাখব?’ তিনি জানান, গত বুধবার দুবাই শহরের আল মাস টাওয়ার থেকে দুজন যাত্রী তার গাড়িতে ওঠেন। যাত্রীদের একজন মিশরীয় ব্যবসায়ী। তিনি গাড়িতে বসে পা রাখার জায়গায় দুটি ছোট ব্যাগ রেখেছিলেন। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে হালিম যখন গাড়ি পরিস্কার করতে গেলেন একটি ব্যাগ চোখে পড়ে তার। ব্যাগটি খুলতেই দেখলেন পাঁচশ দিরহামের নোটের বেশকিছু বান্ডিল। সঙ্গে কিছু সোনার গহনা। সঙ্গে সঙ্গে কাছের পুলিশ স্টেশনে গিয়ে জমা দিলেন ব্যাগটি। হালিম জানান, দুবাইয়ের ট্যাক্সি আইন অনুযায়ী গাড়িতে কিছু পাওয়া গেলে তা কাছের পুলিশ স্টেশনে জমা দিতে হয়। তিনি সে কাজটিই করেছেন। পরে ওই ব্যাগের মালিক টাকার খোঁজে পুলিশ স্টেশনে এলে চালক আব্দুল হালিম তাকে চিনতে পারেন। মিশরীও ওই ব্যবসায়ী হারানো ব্যাগ খুঁজে পেয়ে বেশ খুশি হন। তিনি চালক হালিমের সততায় মুগ্ধ হন। সততার জন্য স্বীকৃতি পান হালিম। দুবাই টেক্সি করপোরেশন তাকে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করে। সেই সঙ্গে, দেয় সততার সনদ। এছাড়া দুবাইয়ের সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাত্তার আল তায়েরও তাকে পুরস্কৃত করেন। দুবাই সরকারের অনেক বিভাগ তাকে মূল্যায়ন করেছে মহৎ এ কাজের জন্য। হালিমের নাম উঠেছে দুবাইয়ের এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডের তালিকায়। দুই সন্তানের এই জনকের কথা-‘সৎ হোন। তবে জীবনের সবকিছুই ভাল হবে। আমার দিকে দেখুন, আমি ব্যাগটি ফেরত দিয়েছে। এ জন্য আমি যা পেয়েছি তা ওই ব্যাগের সম্পদের চেয়েও মূল্যবান। সততার স্বীকৃতি’। দুবাই টেক্সি করপোরেশনের দ্রুতযান চালক বিষয়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মারওয়ান ওসমান আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সত্যিই হালিমের জন্য অনেক গর্বিত। আমরা চাই দেশের সবাই তার মতো প্রতিদিন সৎ কাজ করুক। |