Main Menu

তৈরি হচ্ছে গোয়েন্দা রিপোর্ট : ডাকাত দল হত্যা করে সাগর-রুনিকে!

+100%-

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় আটক আবদুল হালিম ও নূরুল ইসলাম স্বীকার করেছেন তারাই জড়িত ছিলেন ওই হত্যাকাণ্ডে। তাদের সঙ্গে ছিলেন আরো ৩/৪ জন।

হত্যাকাণ্ডটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো বলে জানিয়েছেন তারা। নিছক ডাকাতি করতে গিয়ে সাংবাদিক দম্পতির বাধার মুখে তাদের খুন করা হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছেন আটককৃতরা।

গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, এই মামলায় শনিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করা হয় নূরুল ইসলামকে। এর আগে গত সপ্তাহের বুধবার একই জেলার ফতুল্লা থেকে আটক হন আবদুল হালিম।

নূরুল ইসলামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদর থানার গোদনাইল গ্রামে। তার বাবার নাম মো. সেকান্দার আলী। আবদুল হালিমের বাড়ি জেলার সোনারগাঁও থানার মারুফদী গ্রামে।

সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে এরা দু’জনই হত্যাকাণ্ডে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, কোনোভাবেই তারা সাংবাদিক ওই দম্পতিকে খুন করতে চাননি। প্রতিবাদ করার কারণেই তাদের খুন হতে হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গেছে ৫/৬ জনের একটি দল সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনির বাড়িতে নিছক ডাকাতির উদ্দেশ্যেই গিয়েছিলেন।

সাগর ও রুনির যেসব মালপত্র লুট করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধারের এবং জড়িত অন্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে গোয়েন্দা পুলিশ। সেগুলো উদ্ধারের পরই পুরো বিষয়টি জনসম্মুখে আনা হবে বলে জানায় সূত্র।

এদিকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীসহ সব সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দাবিতে সোমবার সারাদেশে সব সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় সাংবাদিকরা কলোব্যাজ ধারণ করেন। ১ মার্চ অনশনেরও ডাক দেয়া হয়েছে সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে।
১৩ ফেব্র“য়ারি গভীর রাতে সাংবাদিক দম্পতি খুনের ঘটনার ৫ দিন পর তদন্তে ‘ইউটার্ন’ নেয় পুলিশ। ঘটনার রাতে সাংবাদিক দম্পতির ফ্ল্যাটে চোর ঢুকেছিল বলে ওই সময় প্রমাণের চেষ্টা চালানো হয়। ৬/৭ বছরের একটি রোগা শিশুকে ৫ তলায় ওই ফ্ল্যাটে বারান্দার কাটা গ্রিলের ফোকর দিয়ে বুধবার ভেতরে প্রবেশ করানো হয় ওই সময়। এ সময় গোয়েন্দারা পাশের ভবন থেকে রশিদ লজের পঞ্চম তলার পেছনে রান্নাঘরের বারান্দার গ্রিলের ভাঙা অংশ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ ও বাইরে বের হয়ে আসা সম্ভব কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এ সময় একাধিক ভিডিও ও স্টিল ক্যামেরা নিয়ে ছবিও তোলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ওই দিন সাংবাদিক দম্পতির ফ্ল্যাটের কার্নিশ থেকে একটি স্যান্ডেল উদ্ধার করে গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে পায়ের ছাপ এবং কিছু নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।
খুনের পাঁচ দিন পর স্যান্ডেল ও পায়ের ছাপ খুঁজে পাওয়া এবং গ্রিল দিয়ে ‘চোর’ আসা-যাওয়ার তথ্য সহজভাবে মেনে নেয়নি কেউ। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ছিল, ঘটনার পর গোয়েন্দারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাগর-রুনীর ফ্ল্যাটে ও আশপাশের এলাকায় কাটিয়েছেন। অথচ তখন কেন তাদের অ্যাপার্টমেন্টের পেছনের অংশ ঘুরে দেখার কথা মনে পড়লো না? তারা কেন তখন এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়ার প্রয়োজন মনে করলেন না? ঘটনার পাঁচ দিন পর হঠাৎ কেন তাদের এ বিষয়টি মাথায় এলো? এসব প্রশ্নের মুখে গোয়েন্দারা কিছুটা পিছু হটেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, আগামী দু’-একদিনের মধ্যেই সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হবে ঘাতকদের। তবে এর আগেই নিহত সাংবাদিক দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে খোয়া যাওয়া কিছু মালামাল উদ্ধার করে ঘটনাটিকে সত্যনির্ভর করার চেষ্টা করা হচ্ছে।



(পরের সংবাদ) »



Shares