বিদ্যমান অবকাঠামো ট্রানজিটের জন্য উপযুক্ত নয় : বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী
আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ট্রানজিট দরকার। আর ট্রানজিটের জন্য দরকার অবকাঠামো উন্নয়ন। বিদ্যমান অবকাঠামো ট্রানজিটের জন্য মোটেই উপযুক্ত নয়। শনিবার বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ‘কো-অপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি ইন সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া: স্ট্রেনদেনিং ইন্ডিয়া বাংলাদেশ-রিলেশনস’ শীর্ষক সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন। অর্থমন্ত্রী মনে করেন, ট্রানজিট নিয়ে এখন ভিন্নভাবে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, গতানুগতিকভাবে চিন্তা করলে হবে না। কারণ, আধুনিক প্রযুক্তির যুগে অবৈধ পণ্য আসা-যাওয়া হচ্ছে কি না যাচাই করা খুবই সহজ। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যমান অবকাঠামো ট্রানজিটের জন্য উপযুক্ত নয়। ট্রানজিটের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি। অন্যদিকে দরকার হলো উভয় দেশের বিদ্যমান মানসিকতার পরিবর্তন। তবে সবার আগে দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা। যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়লে অন্য সমস্যাগুলো তেমন কোনো সমস্যা হিসেবে থাকবে না বলেও মনে করেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। আঞ্চলিক উন্নয়নে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানিবিষয়ক আলাদা বোর্ড গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি হলে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সঞ্জয় ভট্টাচার্য জানান, ১০০ কোটি ডলারের ভারতীয় ঋণে প্রতিশ্রুত অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর কয়েকটিতে প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য ভারতের দ্বারও খোলা। বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ রপ্তানি করতে পারে ভারতে এবং এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো অশুল্ক-বাধা নেই। ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকস (ডিএসসিই) ও পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ (বিইউপি) ও সেন্টার ফর রিসার্চ ইন রুরাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট (সিআরআরআইডি)। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সঞ্জয় ভট্টাচার্য এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। কো-চেয়ার ছিলেন বিইউপির চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং সিআরআরআইডি নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান রসপাল মালহোত্রা। |
« মুজিবের খুনিরা কি পশ্চিমবঙ্গে? (পূর্বের সংবাদ)