ব্রিটেনে স্টুডেন্ট ভিসায় নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে এপ্রিল থেকে
ডেস্ক :: পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক ভিসার বিকল্পের চিন্ত্মা করছে ব্রিটিশ সরকার। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আসছে নতুন স্টুডেন্ট ভিসায় আইন যাতে মেধাবী স্টুডেন্টরা লেখাপড়া শেষে ব্রিটেনে থাকা এবং কাজের সুযোগ পাবে বলে ইমিগ্রেশন মন্ত্রী জানিয়েছেন।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নতুন স্টুডেন্ট আইন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইমিগ্রেশন মিনিস্টার ডেমিয়েন গ্রীণ। আগামী ৬ এপ্রিল থেকেই কিছু শর্তের ভিত্তিতে গ্র্যাজুয়েটদের ইংলান্ডে থাকা এবং কাজের সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে তিনি আভাস দিয়েছেন। নতুন নিয়মের আওতায় কেবলমাত্র মেধাবী এবং ইউনিভার্সিটি গ্রাজুয়েটদের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হবে। তবে এজন্য তাদের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কাজের অফার লেটার দেখাতে হবে এবং ন্যুনতম বেতন হতে হবে বছরে ২০ হাজার পাউন্ড। কোন কোন প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক পারমিটের জন্য অফার লেটার দিতে পারবে তার একটি তালিকা করবে ইউকে বর্ডার এজেন্সি। এসব লাইসেন্সধারী এম্প্লয়ারদের লোক নিয়োগের জন্য কোন সার্কুলার দিতে হবে না। এছাড়াও ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা হিসেবে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। একে টিয়ার- ১ (এন্টারপ্রিউনার) ভিসা বলে অভিহিত করা হবে।
এতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৫০ হাজার পাউন্ড বিনিয়োগ করতে হবে। একই সাথে স্টুডেন্টদের ডিপেন্ডেন্টরা টিয়ার-২ এর আওতায় কাজের সুযোগ পবে। অন্য দিকে শিক্ষার্থী ভিসার মেয়াদ কমানো হচ্ছে। আন্ডারগ্রাজুয়েট কোর্সে সর্বোচ্চ ৫ বছরের ভিসা দেওয়া হবে। পিএইচডব্লিউর জন্য টিয়াপ ফোরের আওতায় ৮ বছর বর্যন্ত্ম ভিসা দেওয়া হবে। এই আইনের আওতায় শিক্ষার্থীদের এঙ্পেন্স খরচ বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে লন্ডনের ভেতরে মাসে ৯শ পাউন্ড এবং লন্ডনের বাইরে মাসে ৮শ পাউন্ড দেখাতে হবে। এছাড়া ডিপেন্ডেন্টদের জন্য লন্ডরে ভেতরে মাসে ৫শ৩৩ পাউন্ড এর পরিবর্তে ৬শ পাউন্ডএবং বাহিরে ৪শ পাউন্ডের পরিবর্তে সাড়ে ৪শ পাউন্ড খরচ খোতে হবে। শীঘ্রই এবিষয়ে বিস্ত্মারিত জানিয়ে ইউকেবিএ ওয়েবসাইটে খবর প্রকাশ করা হবে। আগামী ৬ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে টিয়ার-১ এর আওতায় পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক (পিএসডাব্লিউ)। গত বছর সরকারি পর্যায়ে এক জরিপের ভিত্তিতে স্টুডেন্ট আইন বড় ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। স্টুডেন্টদের কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং গ্র্যাজুয়েশনের পর দুই বছর পোস্ট স্টাডি ওয়ার্কে যে সুযোগ ছিল তা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয় সেই জরিপের পরপরই। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে পিএসডব্লিউ অফিসিয়ালি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে এর ফলে ব্রিটেরে অর্থনীতি হুমকির মুখে পরবে বলে সমালোচনাও হয়। এছাড়া কলেজ মালিক সমিতি এই আইনের বিরোধীতা করেন। এরই প্রেক্ষিতে সরকার নতুন আইনের চিন্ত্মা শুরু করেছে। ইমিগ্রেশন মিনিস্টার ডেমিয়েন গ্রীণ বলেছেন, আমরা সবসময় মেধাবীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করি। তারা যেন এদেশে লেখাপড়া এবং অধ্যয়ন শেষে কাজ এবং থাকার সুযোগ পায় তার দিকে নজর রাখছি। একই সাথে স্টুডেন্টস আইনের যেন অপব্যবহার না হয় তার দিকেও সতর্ক খেয়াল রাখতে হবে।