Main Menu

কানাডিয়ান পুরস্কার জিতলো মোবাইল ফোন নির্ভর বাংলাদেশী স্বাস্থ্য প্রকল্প

+100%-

মোবাইল ফোন নির্ভর গ্রামের মহিলাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি বাংলাদেশী প্রকল্প ‘কানাডিয়ান গ্রান্ড চ্যালেঞ্জ’ পুরস্কার জিতেছে। প্রকল্পটি ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে গ্রাম্য মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যা, তথ্য-গবেষণা সংক্রান্ত ‘এমপাওয়ার হেলথ’, ‘আমাদের গ্রাম’ এবং কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল ব্রেস্ট ক্যান্সার রিসার্চ’ এর যৌথ উদ্যোগ।

গ্রান্ড চ্যালেঞ্জ কর্তৃপক্ষ এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার প্রদান করবে, যা ঐ প্রকল্প পরিচালনায় ব্যয় হবে।

বাংলাদেশের গ্রামীন রক্ষণশীল সামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো একটি রোগ এবং রোগীদের মোবাইল ফোন টেকনোলজী ব্যবহার করে সেবা দানের বিষয়টি গ্রান্ড চ্যালেঞ্জ কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে একটি বিবেচিত হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মসূচীতে সৃজনশীলতা, জ্ঞান, দক্ষতা ব্যবহার করে কানাডার বিভিন্ন উদ্যোক্তারা প্রযুক্তিগত, সামাজিক উদ্যোগ এবং ব্যবসা উপযোগী প্রকল্প নিয়ে গ্রান্ড চ্যালেঞ্জ কর্তৃপক্ষ এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করে থাকে। অনলাইনে বিভিন্ন বাছাই প্রক্রিয়া এবং সরাসরি পাঠক-দর্শকের ভোটে প্রকল্পগুলি নির্বাচিত হয়ে থাকে।

‘এমপাওয়ার হেলথ’র প্রধান নির্বাহী এবং প্রতিষ্ঠাতা মৃদুল চৌধুরী বলেন, “গ্রান্ড চ্যালেঞ্জ জেতার বিষয়টি আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সেবা দানের এই প্রকল্পটি ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো ঘাতক একটি রোগ চিহ্নিত করা, নিরাময় সহায়তা প্রদান এবং সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে।”

বাংলাদেশের খুলনাতে ‘আমাদের গ্রাম’ পরিচালিত ‘ব্রেস্ট কেয়ার সেন্টার’ এর বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। ‘আমাদের গ্রাম’র ‘ব্রেস্ট কেয়ার সেন্টার’ কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ব্রেস্ট ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার এর সহায়তায় পরিচালিত একটি প্রকল্প।

‘এমপাওয়ার হেলথ’ এর তৈরী মোবাইল ফোন এপ্লিকেশন ঐ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম ফলোআপ, মাঠকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং গ্রামীন মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে। মাঠকর্মীরা এপ্লিকেশনসহ মোবাইল ফোন নিয়ে মহিলাদের সাথে ব্রেস্ট/ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে কথা বলবেন, যদি কারো কোন সমস্যা থাকে তা চিহ্নিত করবেন, ডাক্তারদের সাথে সংক্রিয়ভাবে যোগাযোগ করবেন এবং প্রয়োজনে মহিলাদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবেন।

কানাডিয়ান চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ডা. অফিরা জীনসবার্গ, ‘আমাদের গ্রাম’ এর পরিচালক রেজা সেলিম এবং ‘এমপাওয়ার হেলথ’র প্রধান নির্বাহী এবং প্রতিষ্ঠাতা মৃদুল চৌধুরীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্প পরিচালিত হবে।

উল্লেখ্য যে, হার্ভাড ইউনির্ভাসিটি এবং এমআইটি এর কয়েকজন গ্র্যাজুয়েট এর প্রচেষ্ঠায় ২০০৮ সালে ‘এমপাওয়ার হেলথ’ যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশ, মিশর, বতসয়ানা, ঘানা এবং উগান্ডায় ‘এমপাওয়ার হেলথ’ এর কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় এনজিও ব্র্যাক এবং ‘সিড়ি’ প্রকল্পের আওতায় ১৭টি এনজিও মাঠ পর্যায়ে ‘এমপাওয়ার হেলথ’র প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।






Shares