সাইবার যুদ্ধ: হ্যাকারদের চিহ্নিত করতে ছদ্মবেশে ভারতীয় গোয়েন্দা
বাংলাদেশী সাইটগুলোতে ব্যাপক আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় হ্যাকাররা। বিভিন্ন ব্যাংক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওয়েবসাইট আক্রমণই এখন তাদের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছে উইকলি ব্লিজ। প্রকাশিত এক সংবাদে ম্যাগাজিনটি জানায়, বাংলাদেশী ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকার গ্রুপ এবং তাদের সহযোগীরা মিলে ২৬ হাজার ভারতীয় ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। আর ভারতীয় হ্যাকাররা বাংলাদেশী সাইটগুলোতে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে বড় ধরণের আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ থেকে যেসব হ্যাকাররা ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলোতে আক্রমণ চালাচ্ছেন তাদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ভারত থেকে বিশেষ বাহিনীর একাধিক গোয়েন্দা সদস্য বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছে বলে জানিয়েছে ব্লিজ।
Cyber War
বাংলাদেশী সাইবার যোদ্ধারা এখনও একের পর এক ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে হ্যাকারদের অব্যাহত হুমকির মুখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সাইবার যুদ্ধের বিষয়টি নিয়ে দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে, আর এ কারণে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে সরকার। ইতিমধ্যে একটি বিশেষ বাহিনীকে এ ব্যাপারে কাজ শুরুরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংবাদে ব্লিজ জানিয়েছে, ভারত থেকে সাইবার বিশেষজ্ঞ একটি দল ইতিমধ্যে বাংলাদেশে এসেছে। ভারতের সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ দল এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ব্যুরো (সিবিআই) এর একাধিক প্রতিনিধি রয়েছে এ দলে। ব্যবসায়ী এবং ভ্রমণকারীর ছদ্মবেশে তাঁরা এসেছে, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ দিল্লির বাংলাদেশী হাইকমিশন বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। ছদ্মবেশে বাংলাদেশে আসলেও ভারতীয় গোয়েন্দা দল বাংলাদেশী হ্যাকারদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড-এর সহযোগিতা নিবে। সংস্থাগুলোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
EBL Hacking
এদিকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপ। সাইটটির হোমপেজে লেখা রয়েছে ‘হ্যাকড বাই প্রান্কস্টারস’। তবে হ্যাকাররা সাইটটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন ব্যাংকিং তথ্য চুরি করেছে কি না এ ব্যাপারে ইস্টার্ন ব্যাংকের কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
সুত্র ঃ View this link
« আরব আমিরাতে বাংলাদেশী প্রবাসীদের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি (পূর্বের সংবাদ)