Main Menu

বিয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার ! প্রতি প্লেট ৫-২০ টাকায় হয় বেচাকেনা

+100%-

14484739_534140966784302_5995153317579532993_n

পুরান ঢাকার ওদিকটায় ঘুরাঘুরি করছিলাম। নয়াবাজার এলাকায় বাইক পার্ক করলাম ছবিতে দেখানো দোকানের সামনে…

প্রথমে একটু দোটানায় পরে গেছিলাম যে এগুলা কিসের দোকান। একটু কাছে যেতেই একটা গন্ধ নাকে লাগলো, সেটা হচ্ছে এগুলা বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার বা বিয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার ! এগুলো কিন্তু মোটেও খাওয়ার জন্য উপযুক্ত নয়, কারণ দুর থেকেই অলরেডি পঁচা গন্ধ আসতে শুরু করেছে।

বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করলাম, এই খাবার কি হিসেবে বেচেন?

দোকানদারঃ প্লেট হিসাবে বেচি ভাই
আমিঃ কত টাকা?
দোকানদারঃ ঠিক নাই। ৫, ১০, ১৫, ২০ যে যেরকম নেয়।

আমি আর কোনো কথা বললাম না। কাজ শেষ করে এসে দাঁড়ালাম, দেখলাম এক বৃদ্ধ চাচা রাস্তায় ঠেলাগাড়িতে আমড়া, জাম্বুরা বিক্রি করে, সে এসে এক প্লেট উচ্ছিষ্ট খাবার নিলো…

উনি বুঝতে পারছেন খাবার ভালো না, তবুও খাচ্ছেন। কারণ ১০ টাকায় পেট ভরার মত আর কিছু সামনে নাই। আরেক রিকশাওয়ালা আসলো, সেও নিলো…

আসলে মানুষের প্রয়োজন মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে! ভেবে বের করা অসম্ভব !

যদি সবার ভেতরে নুন্যতম বিবেকবোধ থাকত, তাহলে হয়ত এই লোকগুলাকে পঁচাবাসি খাবার খেতে হত না। আমরা যদি বিবেক করে এই সমস্ত খেটে খাওয়া লোকগুলোকে ঠিকঠাক মজুরি দেই, তাহলে অন্তত এদের আর দুপয়সা বাঁচানোর তাগিদে পঁচা খাবার খেতে হবেনা।

কেনো এই কথা বললাম?

আমরা রিকশায় উঠার সময় দরদাম করি, কিন্তু কখনো ভেবে দেখিনা, ২০ টাকা ভাড়ায় রিকশায় উঠলাম, ওইটুকু জায়গা আমি রিকশা চালিয়ে গেলে কত টাকার পানি ও খাবার আমার লাগত !

জাম্বুরা কিনতে গেলে বলি, ১০ টাকার জাম্বুরা এত কম কেনো? অথচ তাদের সারাদিন রোদে পুড়ে কি পরিমান কায়িক পরিশ্রম হয় তা যদি ভাবেন তাহলে আর মনে এরকম প্রশ্ন আসবেনা।

অথচ একজন পেশাদার ভিক্ষুকের ১ ঘন্টার আয় অনায়াসে ১০০টাকা। যেটা আমরাই দেই…

মোটকথাঃ ভিক্ষা দেয়া বন্ধ করেন, পরিশ্রমীকে সাহায্য করেন 🙂

(তবে সামান্য কিছু লোক আছে, যাদের উপায় নাই বলেই তারা ভিক্ষা করে। সেটা ৫% এর বেশী হবেনা।

তথ্য ও ছবি :: ফেসবুক থেকে নেয়া।