ফেইসবুকে উপজেলা নির্বাচন অফিসার কে লাঞ্ছিত করার ভিডিও ভাইরাল
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো.জাহিদুল ইসলামের গায়ে হাত তুলে দস্তা-দস্তি করার ধারন করার ভিডিওর দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। এ নিয়ে উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝর উঠেছে। এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নবীনগর থানায় ভোক্তভুগি নির্বাচন অফিসার থানায় অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টিয়ারা গ্রামের আয়েশা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বুধবার(২৪/০৭) সকাল থেকে জাতিয় পরিচয় পত্র স্মাট কার্ড বিতন কালে নানান অনিয়মের অভিযোগ তুলে বক্তব্য নেয়ার জন্য স্থানিয় অনলাইন টিভির সাংবাদিক মো. হেদায়েত উল্লাহ নবীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের শরিরে হাত তুলে দস্তা-দস্তি করারে । আরেক জন অন্য পাস থেকে সে ভিডিও ধারন করে স্মাট কার্ড বিতন কালে নানান অনিয়মের অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছেড়ে দেয়। যা দেখে এলাকায় সমালোচনার ঘর উঠে।
ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে অনলাইন টিভির সাংবাদিক মো. হেদায়েত উল্লাহ ফেইজবুকে আপলোড করা সেই ভিডিও ডিলেট করে আরেকটি স্টেট্যাস দিয়ে জানান, স্মাট কার্ড বিতরন কালে নানান অনিয়মের অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং সে জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
এ নিয়ে স্থানীয় মূল ধারার সাংবাদিকরা অনলাইন টিভির সাংবাদিক মো. হেদায়েত উল্লাকে নিয়ে ফেইসবুকে নানান বজে মন্তব্য করতেও দেখা যায়। তাদের মধ্যে নবীনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,তাদের মত অনলাইন ভিত্তিক সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সাংবাদিকদের কাজ গায়ে হাত তোলা নয়, সমাজে অন্যায় কিছু করলে তার প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ প্রকাশ করা। ফেইসবুক সাংবাদিকতার কোন মাধ্যম নয়। সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতা কোন ভাবে কাম্য নয়। এ ঘটনার বিচারের দাবিও জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান,স্মাট কার্ড বিতরনকালে হেদায়েত উল্লাহ নামে এক সাংবাদিক আমার সাথে অসালিন আচরন করে আমার গায়ে হাত তুলে। এবং সে ভিডিও ধারন করে ফেইসবুকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে। এ বিষয়ে আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।