নবীনগরের মহেশ সড়ককে পুকুরের পাড় বানিয়ে ফসলি জমি খনন ও সরকারি খাল দখল
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি: কোন শক্তিই আমার মাটি কাটা বন্ধ করতে পারবেনা,আমি সব ম্যানেজ করেই এসব করছি, সাহস থাকলে পত্রিকায় নিউজ দিয়ে আমার(অকথ্য) ছিড়েন বলে সাংবাদিকদের বলছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি এ ভাবেই স্থানীয় সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহেশ সরককে পুকুরের পাড় বানিয়ে ফসলি জমি খনন করে লক্ষ লক্ষ টাকার মাটি বিক্রয় করে চলেছেন। পাশাপাশি জমিটির পাশে থাকা সরকারি খালটিও তিনটি পাড় বানিয়ে নিজের দখলে করে নিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিটঘর গ্রামের গলাকাটা ব্রিজ সংলগ্ন সরকারি খাস খাতিয়ান ভাক্ত খালের পাসের ফসলি জমির মালিক শুক্কু মিয়া ও টুক্কু মিয়া। তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঅঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমিটির মাটি বিক্রি করে প্রায় বিশ-পচিশ ফিট গভীর করে মাটিদিয়ে তিনটি পাড় বেঁধে সাথের সরকারি খালের সাথে মিলিয়ে নিজের দখলে নিয়ে ফেলেছে।
স্থানিয়রা জানান, ঐতিহ্যবাহী মহেশ সড়ক ঘেসে যুদি এভাবে পুকুর খনন করা হয়,তাহলে অচিরেই এই সড়কটি পুকুরে বিলিন হয়ে যাবে। স্থানিয় চেয়ারম্যানের বাধাঁ দেওয়ার পরও নিজ ক্ষমতা বলে তার এই অবৈধ খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন,সাথে তার জমির পাসের সরকারি খালটিও মাটিদিয়ে পাড় বেধেঁ নিজের দখলে নিয়ে ফেলেছে।
জমির মালিক প্রভাবশালী শুক্কু মিয়া জানান, আমার জমির পাসের সরকারি খাল আমি দখল করুম,সেখান থেকে মাটি বেঁচুম এতে কার বাপের কি! মহেশ সড়কের রাস্তা ভাঙ্গলে আমি ঠিক কইরা দিমুনে।
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) জেপি দেওয়ান জানান,ফসলি জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করে মাটি খনন করে পুকুর তৈরি করার জন্য অভিযোক্ত দেলোয়ার হোসেন কে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছি।পাশাপাশি ফসলি জমিটি মাটি ভরাট করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।