নবীনগরে হত্যা মামলার তদন্ত রিপোট নিয়ে উত্তেজনা
মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানা’র বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া খুনের মামলা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তারই প্রতিবাদে গত ২৬ ও ৩১ অক্টোবর সকালে উপজেলা সদরে ও জিনোদপুর গ্রামে অত্র ইউনিয়নের শতাধিক জনতা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করতে দেখা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ১ মার্চ বুধবার রাতে উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের সালিশ করতে ডেকে এনে উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের খন্দকার আব্দুল হক(৪৫) ও শিবপুর ইউনিয়নের কাজলিয়া গ্রামের ইয়াছিন (৪০) নামে দুজনকে খুন করা হয়। আব্দুল হকের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ থাকলেও ইয়াছিন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রাক্তম সদস্য বলে জানা গেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে উপজেলার রছুল্লাবাদ গ্রামে খন্দকার আব্দুল হক (হক ডাকাত) একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে পার্শ্ববতী সাতমোড়া উইনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের দুই যুবককে ধরে এনে প্রচন্ড মারধর করেন। এ ঘটনার পর জগন্নাথপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক হকের ওপর ক্ষুব্ধ হয়।
এ বিষয়ে এলাকার অনেকেই জানান, এর জের ধরে জগন্নাথপুর গ্রামের কয়েকজন মাতব্বর বিষয়টির মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে ২০১৭ সালের ১মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় এনামুল হক কে ডেকে জগন্নাথপুরে নিয়ে যায়। সে সময় এনামুল হক তার সঙ্গে থাকা শিবপুরের কাজলিয়া গ্রামের বাসিন্দা তারই ভায়রা ভাই বিজিবির প্রাক্তন সদস্য ইয়াসিন মিয়াকেও জগন্নাথপুর গ্রামে নিয়ে যায়। এর পরই এশার নামাজের পর জগন্নাথপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সেন্টু মিয়ার বাড়িতে দুজনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে গত বছরই নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজ্ঞ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের কারলে। সে মামলাটি বিজ্ঞ আদালত সিআইডিকে তদন্ত করার নিদের্শ দেয়। সিআইডি তাদের তদন্তের ভিত্তিতে ২৮ জনকে আসামি করে এ মামলায় একটি প্রতিবেদন প্রেস করে। প্রতিবেদনে উল্লেখিত আসামীরা হলেন, কামাল মিয়া(৫৫),সেটু মেম্বার(সাবেক সেনু মেম্বার)(৬০),মো.মাসুদুর রহমান(মাসুদ রানা বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান)(৪০),সজুরুল ইসলাম সজু (২৭), মাহাবুব মিয়া(৩০), সাধন(২২), মামুন মিয়া(১৮), মাসুম মিয়া(২৩), মিজান মিয়া(২৮), মাহাজুল(১৮) আনার মিয়া(৩০), আব্দুল মজিদ সরকার(৬০) ,শরিফ মিয়া(৩০), নজরুল ইসলাম(৪৫), হাবিব মিয়া(৫৫), সাজেদা বেগম(৪৫), এরশাদ মিয়া (৪০), আঃসাইদ(৩৮), শেফালী বেগম(৪০), মিলন আক্তার (২৫), শাহাদাত হোসেন(৩০),আল আমিন(২৫), মাজেদ মিয়া(৫০), জামাল মিয়া(৬০), শাহিন মিয়া(২৪), শরিফ মিয়া(২৮), জামসেদ(২৭), মোবারক(৩৫), সামসু মিয়া(২৮) সর্ব সাং-জগন্নাথপুর থানা নবীনগর জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আলমগীর জানায়, আমার সার্বিক তদন্তে,প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে,অভিযোগের ভিত্তিতে,মানিত স্বাক্ষী ও ঘটনাস্থলের আসপাসের স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার পারস্পারিকতায়, সুরত হাল রির্পোটের ভিত্তিতে পেনেল কোড ৩০২/৩৪ ধারায় প্রথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি।