নবীনগরে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলায় দোল খাচ্ছে এলাকাবাসী
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর সংবাদদাতা: আকাশের মেঘ দেখলেই পালিয়ে যায় বিদ্যুৎ! কিংবা একটু ঝড়ো হাওয়া বইলেই দেখা নেই বিদ্যুতের। একবার গেলে কখন আসবে তারও কোনো ঠিক নেই। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এছাড়াও রাতে একবার বিদ্যুৎ গেলে আসে পরদিন। বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়ার খেলায় যেন দোল খাচ্ছে এলাকাবাসী।
চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়। তবে ধানকাটা মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে এলেও এখনো পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছে না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস। পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লুকোচুরি খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ শুধু একদিনের নয়, নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভোগান্তি। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ঘন ঘন এমন লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফ্রিজ, পানির মোটর, ফটোকপি মেশিনসহ বিদুৎ চালিত যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার পথে। বেকায়দায় পড়েছে শিক্ষার্থীরাও। এছাড়াও বাড়তি ভোগান্তি হিসেবে আরও যোগ হয়েছে গ্রাহক হয়রানি, বিদ্যুতের নতুন সংযোগ ও খুঁটি সরানো বিষয়ে বিশেষ একটি মহল হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমান অর্থ। এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি নন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ও সাধারণ গ্রাহক। এমন বেহাল দশা দেখার যেন কেউ নেই।
এদিকে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-জোনাল অফিসের ডিজিএম নীল মাধব বণিক জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ের কারণে ৩৩ কেভি লাইন ও ফিডার লাইনে বিপর্যয় ঘটায় এই সমস্যা হচ্ছে।