Main Menu

নবীনগরে তিতাস ও বুড়ি নদী খননে নানা সমস্যায় পড়ছে ‘ক্যাপিটাল ড্রেজিং নৌপথ’ শীর্ষক প্রকল্প

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ,নবীনগর প্রতিনিধি:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের তিতাস ও বুড়ি নদী খনন কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েছে ‘ক্যাপিটাল ড্রেজিং নৌপথ’ শীর্ষক প্রকল্প।
স্থানীয় দখলদাররা নদীর পাড় দখল করে রেখে সেখানে মাটি কাটতে দিচ্ছেন না। হামলা মামলা ও বিভিন্ন অজুহাতে মাটি কাটতে গিয়ে প্রতিনিয়তই বিপাকে পরছে খনন কাজ। এতে করে নির্ধারিত সময়ের চেয়েও বেশি সময় ব্যায় হচ্ছে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের।
জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীর উৎপত্তি মেঘনা নদী থেকে। শত শত মাঝিমাল্লা ও জেলের জীবিকা নির্বাহ এবং হাজার হাজার একর কৃষি জমির সেচের একমাত্র উৎস এই তিতাস ও তিতাসের কন্যা খ্যাত বুড়ি নদী। ম্যাপে নদীটির কোনো অংশের দৈর্ঘ্য ৭০০ ফুট থেকে এক হাজার ফুট পাওয়া গেলেও উজানের পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পলি জমে নদীর পূর্ব তীরে চর জেগে ওঠায় নদীটি খালে পরিণত হয়েছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভৈরব, নরসিংদীতে ৪০টি লঞ্চ, শতাধিক স্পিডবোট,শতশত কার্গো ও হাজারো ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচল করে দু’টি নদীতে। নদী যখন নাব্যতা সঙ্কটে নৌ- চলাচল বন্ধের উপক্রম হচ্ছিল এবং প্রভাবশালীদের অব্যাহত দখল আর পরিবেশ বিনষ্টকারীদের ফেলা বর্জ্যের দূষণে অস্তিত্ব হারিয়ে যাচ্ছিল সে সময় অভ্যন্তরীণ নৌ-পথে ‘ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রথম পর্যায় ২৪টি নৌপথ’ শীর্ষক প্রকল্পে নবীনগর থেকে কসবার কুটি বাজার পর্যন্ত তিতাস ও বুড়ি নদীর ২৪ কিলোমিটার নৌপথে নাব্যতা উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়।
সে লক্ষ্যে নদী ১৮০ থেকে ১২০ ফুট প্রস্থ আর ১২ ফুট গভীর করার জন্য ২৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের মাধ্যমে ড্রেজিং কাজ শুরু হয়। নদীর সীমানা নির্ধারণ না থাকায় তিতাস ও বুড়ি নদীর তীরে জেগে ওঠা চরের মালিকানা দাবি ড্রেজাকে মাটি কাটতে দিচ্ছেন না।
সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় নদীর ম্যাপ দেখে সীমানা নির্ধারন করে খনন কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু মামলায় পড়তে হয়েছে কাজ করার অনুমতি পাওয়া ড্রেজার মালিক ও তার শ্রমিকদের।
তিতাস পাড়ের এক বাসিন্দা বলেন, ওরা কি নদী খনন করতে এসেছে নাকি নদী খননের নামে তামাশা করতে এসেছে? তিতাসের মনতলা মোড় থেকে শুরু করে নবীনগর লঞ্চঘাটের সামনের জায়গাসহ আলীয়াবাদ বাস টার্মিনাল পর্যন্ত নদীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, নদীর সীমানা নির্ধারণ ও সঠিক মাপে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নদী খননের জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। গত ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ২৪ কিলোমিটার নদী খননকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে এসেও বিভিন্ন হামলা-মামলায় পড়ে আশানুরুপ নদীও কাটা হয়নি।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইড ম্যানেজার মো. উজ্জ্বল মিয়া বলেন, স্থানীরা তাদের জমির মালিকানা দাবি করে হামলা-মামলা করে প্রতিনিয়তই বিপাকে ফেলছে খনন কাজ। এছাড়াও আমাদের ডাইক তৈরি, পাইপ লাগানো ও মেকানিক্যাল কিছু সমস্যার কারণেও কাজের কিছুটা দেরি হচ্ছে। আমাদের সাথে সরকারের চুক্তি মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের আগেই নদী খননের কাজ শেষ হয়ে যাবে। প্রয়োজনে আরো ড্রেজার আনা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুম জানান, নদী খননকাজে এলাকার সকলকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। খননকাজে কোন অনিয়ম থাকলে সেটা আমাদের জানালে আমরা তার ব্যবস্থা নেবো।






Shares