নবীনগরে চুরি হওয়া স্বর্ণ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা
মিঠু সূত্রধর পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে গত বুধবার দিনে দুপুরে উপজেলা সদরের সালাম রোডের লক্ষী ভান্ডার শিল্পালয় থেকে অভিনব কায়দায় ফিল্মী স্টাইলে চুরি হয়ে যাওয়া প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণ উদ্বারের জন্য অবশেষে পুলিশকে সাতদিন সময় বেঁধে দিয়েছেন নবীনগর বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
গতকাল সদরের বাজারের বসুন্ধরা সুপার মার্কেটের স্বর্ণ পট্টিতে বাজারের শতাধিক বিক্ষুব্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে নবীনগর থানার ওসি’র এক মতবিনিময় সভা চলাকালে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পুলিশকে এ আল্টিমেটাম দেয়।
জবাবে ওসি আসলাম সিকদার তাঁর বক্তব্যে ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা পেলে সময় বেঁধে দেয়ার আগেই চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারসহ অপরাধীদের গ্রেপ্তারের ব্যবসায়ীদের আশ্বস্থ করেন।
জানা যায়, গতকালের আলোচিত ওই চুরির ঘটনার প্রতিবাদে বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত সকল স্বর্ণের দোকান বন্ধ রাখা হয়।
এসময় স্থানীয় বসুন্ধরা মার্কেটের স্বর্ণ পট্টিতে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণের জন্য স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সাথে নবীনগর থানার ওসি আসলাম সিকদারের দীর্ঘ এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নবীনগর বাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বিজন দাসের সভাপতিত্বে ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওসি আসলাম সিকদার।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নবীনগর থানার এসআই সুখেন্দ্র বসু, বিশিষ্ট ঠিকাদার মানিক বিশ্বাস, নবীনগরের কথা পত্রিকার সম্পাদক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিনিধি সঞ্জয় সাহা, বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি মনির হোসেন,স্বর্ণ ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিমল বর্মণ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম জনি।
দুই শতাধিক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও স্বর্ণ শিল্পী স্ব স্ব দোকান বন্ধ রেখে সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে নবীনগর বাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বিজন দাস বলেন, ওসি মহোদয়ের কাছে আগামি সাতদিনের মধ্যে এ ঘটনার প্রতিকারসহ আমরা আমাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেছি। তিনিও (ওসি) দাবি পূরণে আমাদেরকে আশ্বস্থ করেছেন। আশা করছি, এখন থেকে আমরা নিরাপদে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারবো। অন্যথায় সাতদিন পর আমরা স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা পুনরায় বসে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
নবীনগর থনার ওসি আসলাম সিকদার বলেন, “ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা পেলে সাতদিন আগেই এ ঘটনার প্রতিকার করতে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ। ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক নিরাপত্তা বিধানেও বেশ কিছু পদক্ষেপ শিগগীরই নেয়া হবে।” ওসির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুর ১টার পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বন্ধ থাকা স্ব স্ব দোকান খুলেন।