নবীনগরে চাউল বিক্রীর ঘটনায় অভিযুক্তকে সাথে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন
নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ১০ টাকা দরে ও ভিজিডি কর্মসূচীর চাউল বাজারের দোকান থেকে উদ্ধার করার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি হচ্ছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সামছুল হক তদন্ত কমিটির সদস্য।
অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.আবু মাসুম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আরা বেগম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তাহেরকে আহবায়ক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত গঠন করা হয়। গত মঙ্গলবার (২৩/০৪)সন্ধ্যায় প্রকাশিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুমের স্বাক্ষরিত এক অফিসিয়ালি আদেশে গতকাল ২৪ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার(২৩/০৪) উপজেলার বাইশমৌজা বাজারে সরকারের দারিদ্র বান্ধব কর্মসূচী হিসাবে হত দরিদ্রদের জন্য ১০টাকা কেজী চাউল ও ভিজিএফ চাউল বিতরনের এসব চাউল বাজারে বিক্রী করতে দেখে এলাকার স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুমকে অবগত করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত পুলিশসহ খাদ্য পরিদর্শক নুরুজ্জামানকে ঘটানাস্থলে পাঠান। পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. আজিজকে নিয়ে খাদ্য পরিদর্শক নুরুজ্জামান বাজারে চাউল ব্যবসায়ী সামছুদ্দিন মিয়ার দোকানে অভিযান চালিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সীলকৃত ও ভিজিএফ এর ওই সকল চাউলের বস্তা উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে বাইশ মোজা বাজারে চাউল ব্যাবসায়ী দোকানদার সামছুদ্দিন বলেন, সরকারি চাউল বিতরনের ডিলার জিয়াউদ্দিন মিয়ার চাচা খাজা খাইরুদ্দিন মিয়ার কাছ থেকে আমি এ চাউল কিনেছি, এ গুলো সরকারি না কিসের চাউল তা আমি জানি না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্ততরের একটি সুত্র জানায়, নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চাউল ডিলারদের সাথে আতাত করে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. সামছুল হুদা বাজারের সরকারি এসব চাউল বিক্রীর সহায়তা করে আসছে। তবে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, এসব ঘটনার সাথে আমি মোটেও জড়িত নই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে এ খবর পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের মধ্য দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সীলকৃত ৭বস্তা চাউল খাদ্য নিয়ন্ত্রন গোডাউনে নিয়ে আসা হয়েছে এবং ভিজিডি কর্মসুচীর ১০ বস্তা চাউলসহ ওই দোকানটি সিলগালা করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রনে দেওয়া হয়েছে। এ গুলো কিভাবে বাজারে এলো এদের সাথে কারা জড়িত এর জন্য ৪সদস্য বিশিষ্ট উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।