Main Menu

নবীনগরে অসহায় পরিবারের মুরগির ফার্ম-মুদির দোকানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ, আটক ২

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কনিকাড়া গ্রামে একদল সন্ত্রাসী অসহায় একটি পরিবারের মুরগির ফার্ম ও মুদির দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এসময় গ্রাম বাসিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবারটিকে প্রাণে রক্ষা করেন এবং দুজন সন্ত্রাসীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। আটককৃতরা হলেন,নবীনগর পৌর এলাকার জল্লা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে আরিফ আহাম্মেদ আসিফ(২০) ও পৌরএলাকার মধ্যপাড়ার আবু তালেব মিয়ার ছেলে জিল্লুর রহমান জয়(১৯)।
গত ২৭ আগষ্ট শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার কনিকাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের আব্দুল আউয়াল মিয়া ৬জনকে আসামি করে নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান, উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া মৌজার রাস্তার পাসের বিএস ২৯০২ নং দাগের আব্দুল আউয়াল মিয়ার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া একটি জায়গা। এ ছাড়াও সেই জায়গাটিতে আউয়াল মিয়ার পরিবার বহুদিন যাবত একটি মুরগির ফার্ম ও মুদি মালের ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে। সে জায়গাটি নিয়ে একই এলাকার হেজবুল বারির সাথে আদালতে একটি মামলাও চলমান রয়েছে আব্দুল আউয়াল মিয়ার।
জানা যায়, আদালতে চলা অমিমাংসিত মামলার সেই জায়গা থেকে জোরপূর্বক তাদের উচ্ছেদ করার জন্য ৭-৮জন অজ্ঞাতনাম সন্ত্রাসী ও দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র সহ হেবজুল বারি তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় বাদী আব্দুল আউয়ালের ছোটভাই বাতেন মিয়া (৩০), আব্দুল আওয়াল (৩৮), নারগিস বেগম, রুপা বেগম ও রাবেয়া বেগম গুরুত্বর আহত হয়। এসময় মুরগির ফার্মে ও মুদি মালের দোকানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায় সন্ত্রাসীরা।
এসময় হামলার বিষয়টি গ্রামবাসী টের পেয়ে ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় দুজন সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশের হেফাজতে তুলে দেন গ্রামবাসী।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, সন্ত্রাসীরা তাদের মুরগির ফার্ম ও মুদি মালের দোকান ঘড়ের বেড়া ভেঙে ও নগদ টাকা সহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। আবারো যে কোন সময় তাদের উপরে হামলা হতে পারে বলে ধারনা তাদের। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন পরিবারটি।

এ ব্যাপারে বিবাদী হেবজুল বারি বসত বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় নি। তবে এ বিষয়ে তার স্ত্রী জানান, তারা ওই জায়গার মালিক এবং জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলাও করেছে তারা। হামলার বিষয়ে বলেন, কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা তারা জানে না।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুর রশীদ বলেন, কনিকাড়া গ্রামে মারামারির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত দু’জনকে গ্রেপ্তার করে চালান দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।