নবীনগর আলিয়াবাদ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পৌরএলাকার আলিয়াবাদ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এটিএম রেজাউল করিম সবুজের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন,সরকারি চাকুরী বিধি লংঘন করে জামায়েত ইসলামী রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ গ্রহণ,রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ড, সরকারী ভূমি দখল,অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
আবদুল কুদ্দুস নামে আলীয়াবাদ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক অভিভাবকের করা জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে সেই অভিযোগের কপি সূত্রে জানা যায়, উক্ত প্রধান শিক্ষক সরকারি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জায়গা অবৈধ দখল ও রাষ্টীয় সম্পদ ক্ষয় ক্ষতির অপরাধে দোষী সাবস্থ করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) বিগত ০২/০৫/২০১১ইং তারিখে পাঁচ হাজার টাকা জরিমান করা হয়। অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করার রায় দেন। নিয়মানুশারে তার দন্ড সম্পর্কে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন ও রায় ঘোষনার দিন থেকে তাকে বরখাস্ত করা হবে। এছাড়াও অভিযোগে বলা হয়, বিগত ২৮/০২/২০১৩ইং তারিখে সারা দেশের নেয় জামায়ত কর্তৃক সকাল সন্ধ্যা হরতালে ভাংচুর ও ধংসাতœক কর্মকান্ডের জন্য নবীনগর থানায় একটি মামলা হয়। মামলা নং -৬৯,সে মামলার ২৬ নাম্বার আসামী ছিলেন তিনি।
তাছাড়াও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের গোপন মিটিং এর খবর প্রকাশিত হয় দেশের একাধিক জাতিয় দৈনিক পত্রিকা গুলোতে।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়,তিনি বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে বিভিন্ন অফিসে তবদীর ও লবিং এ রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ব্যস্ত থাকেন। প্রায় সময়ই উনাকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত পাওয়া যায়না। অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও আছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও অভিযোগের কপির সাথে পত্রিকার ফটোকপি,আদালত কর্তৃক রায়র ফটোকপি ও থানার মামলার ফটোকপিও সংযুক্তি করতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে এটিএম রেজাউল করিম সবুজ জানান, এসব মিথ্যা অভিযোগ। আমাকে বিতর্কিত করতেই এ অভিযোগ গুলি করা হয়েছে। অতিতেও আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছিলো যার সত্যতা পাওয়া যায়নি। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে বা আমার কতৃপক্ষ তদন্ত করলে সে অভিযোগ গুলোর আমি প্রমান সহ ব্যাখা দেবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বনিক অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে একজন তদন্তকারি কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।