ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে অতঃপর তালাকের জেরে নবীনগরে স্কুল শিক্ষক লাঞ্ছিত
এস.এ রুবেল :: নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের শ্যামগ্রাম বনলতা-বিপিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষিশিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক পলাশ সরকার গতকাল এলাকাবাসীর হাতে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হয়েছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁ জেলার নিয়াবপুর থানার চকদেউলিয়া গ্রামের বৌদ্ধনাথ সরকারের বড় ছেলে পলাশ সরকার সনাতন ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ছাত্র জীবনে একই জেলার মান্দা উপজেলার চক কেশবপুর গ্রামের অাব্দুল হামিদের কিশোরী কন্যা শাবানা অাক্তারের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পরেন। দীর্ঘ সাত বছরের প্রেম শেষে প্রণয়ে আবদ্ধ হন (২৭ মে ২০১৫) সালে। ওইদিন পলাশ সরকার নাম পরিবর্তন করে তৌফিক ইমাম (পলাশ) নাম ধারন করে পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে কোর্টের মাধ্যমে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেন শাবানাকে।
বিয়ের এক বৎসর পার না হতেই স্ত্রীকে কোর্টের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠানোর কারনে এলাকাবাসীর হাতে তিনি লাঞ্ছিত হন।
নওগা জেলার দু’ধর্মের দুই অনুসারীর এ বিয়েতে ওই সময় এলাকাতে আলোচনা সমালোচনা হলেও পরবর্তিতে পারিবারিক ভাবে তা মেনে নেয়া হয়। চাকরী সুত্রে শ্যামগ্রামে থাকায় পলাশ সরকার ওই ইউনিয়নের নাছিরাবাদ গ্রামে ভাড়া বাসায় সাবানাকে নিয়ে ঘর বাধেন।
এতদিন বেশ ভালই চলছিল হিন্দু পলাশ সরকার ও মুসলিম সাবানা দম্পতি সংসার। বিপত্তি ঘটে সাবানার হাতে কোর্টের তালাকনামা নোটিশ হাতে আসলে। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে তার। দিশেহারা হয়ে ছুটে যান, নাছিবাবাদ-শাহবাজপুর-শ্রীঘর গ্রামের সমাজপতিদের দোরগোড়ায়। সাত বছরের প্রেমের সম্পর্ক বিয়েতে এক বছর না পেরুতেই তালাকনামা সাবানা মেনে নিতে পারেনি।
ওই ঘটনার জেরে এলাকাবাসি উত্তেজিত হয়ে গতকাল (১১-০৭)শ্যামগ্রাম বনলতা-বিপিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পলাশ সরকারকে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করে। এ বিষয়ে জানতে পলাশ সরকারের মোবাইল নাম্বারে ০১৭৭৮৩৩০৯// যোগাযোগ করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় পুরো ইউনিয়ন জুড়ে তোলপাড় চলছে।