তিতাস নদীর মোহনা পাগলা নদীতে নির্মিত হচ্ছে আব্দুল কুদ্দুস মাখন সেতু
আমিনুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিবেদকঃনবীনগর বাসীর দীর্ঘ দিনের প্রানের দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে।স্থানীয় সাংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল এম,পির অক্লান্ত প্রচেষ্টায় অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলা সদরের সাথে নবীনগর উপজেলার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের সেতু বড়াইল চরগোসাইপুর-কৃষ্ণনগর”(আব্দুল কুদ্দুস মাখন সেতু) টি এখন নির্মান কাজ পুরোদমে চলিতেছে।
গত বছরের ২৬ শে জুলাই প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।১৮০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি টাকা।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল মন্ত্রনালয় (এল,জি,ই,ডি) সেতুটি বাস্তবায়ন করবে।প্রজেক্টের দায়িত্তে থাকা মোঃ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন সেতুটি ১৮ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
সেতুটি নির্মানের শুরুতেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে নবীনগরের সর্বস্থরের জনগনের মাঝে।
এ দিকে বড়াইল ইউনিয়নের নবাগত চেয়ারম্যান মোঃজাকির হোসেন ব্রাক্ষণবাড়িয়া ২৪ কে জানান,এই সেতুটি বড়াইল বাসীর দীর্ঘ দিনের প্রানের দাবি ছিল।নবীনগরের সাথে একমাএ নৌপথ ছাড়া সরাসরি যোগাযোগ ব্যস্তা না থাকার কারনে বিশেষ কোন কাজে বড়াইল ইউনিয়ন বাসীকে পড়তে হয় চরম বিপাকে।স্থানীয় সাংসদের প্রচেষ্টায নির্মিত হচ্ছে তিতাস নদীর উপর সেতুটি।এ সেতুটি নির্মানের ফলে বড়াইল ইউনিয়ন বাসীর মনে অনেকটা স্বস্তিরভাবে পরিনত হয়েছে।পাশাপাশি বড়াইল -কৃষ্ণনগর রাস্তার কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।তার জন্য আমার প্রানপ্রিয় নেতা জনাব ফয়জুর রহমান বাদল ভাইকে স্বাধুবাদ জানাই।
এদিকে তিতাস নদীর গোদারার স্থানীয় মাঝি রতন মিয়া জানান,এ ব্রিজটা করলে আমাগো কোন লস হইবো না।কারন এখন নৌকা চালাই,ব্রিজ হইলে তখন গাড়ী চালাইমো।তখন পরিশ্রম ও কম হইবো টাকা ও বেশি রুজি হইবো।
অন্যদিকে বড়াইল গ্রামের স্থানীয় বাসিন্ধা মোঃহুমায়ূন কবির ব্রাক্ষণবাড়িয়া ২৪ কে জানান,এ সেতুটি নির্মিত হলে নদীর দুপার বাসির মিলন মেলায় পরিনত হবে।কারন আসা যাওয়া করতে তখন দিন-রাত লাগবে না।যে কোন সময় ইচ্ছে করলে আসা করতে পারবে।ব্রিজটি নির্মানের ফলে নবীনগরের সাথে যোগাযোগ ব্যস্তা বেড়ে যাবে।পাশাপাশি ছাএ-ছাএীরা অল্প সময়ের মধ্যে স্কুল কলেজে আসা যাওয়া করতে পারবে।
এ দিকে কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃফেরদাউসুর রহমান ব্রাক্ষণবাড়িয়া ২৪ কে জানান,ব্রিজটি আমাদের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন ছিল।আজ তা বাস্তবায়ন হচ্ছে।সেতুটি নির্মানের ফলে জেলা সদরে সাথে অল্প সময়ে চলাচল করতে পারবো।আর এ সেতুটি যাতে দীর্ঘয়িত সময় ব্যয় না করে অল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।