নবীনগরে স্কুলছাত্রীকে হয়রানির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ মানববন্ধন
নবীনগর প্রতিনিধি : উপজেলার কাইতলা গ্রামে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ চেষ্টা, শারীরিক নির্যাতন ও উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে এবং দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল শনিবার এক দীর্ঘ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। সকালে কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চবিদ্যালয় ও কাইতলা জুবেদা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যানার, ফেস্টুন হাতে সড়কে মানববন্ধন করে চিহ্নিত বখাটে রিয়াজসহ তার সহকর্মীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। জানা যায়, গত ৬ মে কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রিয়াজ জামাল ও তার সহপাঠীরা উত্ত্যক্ত, শারীরিক নির্যাতন ও অপহরণের চেষ্টা চালায়। এ সময় চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এর আগেও তিনবার এ ধনেরর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু গ্রামের কিছু সর্দার মীমাংসার নামে এসব ঘটনা মোটা অঙ্কের বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ফলে এলাকার বখাটে দ্বারা প্রায়ই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত আলী বলেন, এলাকায় বখাটে সন্ত্রাসীদের উৎপাত বেড়ে গেছে। আমরা এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানচ্ছি। চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা মো. ফারুক আহম্মেদ সেলিম বলেন, এ ঘটনা মীমাংসার জন্য এলাকার সর্দাররা আমাকে চাপ দিচ্ছে। ছেলের পরিবার হুমকি দিচ্ছে, আমি আইনের মাধ্যমে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। বখাটে জামাল ও তার পিতা সেলিম মাস্টারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। শিবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ কাউসার আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ওই বখাটে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।