সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, নবীনগরে মানববন্ধন, পাল্টাপাল্টি ঝাড়ু মিছিল
নিউজ ডেস্ক : নবীনগরে সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। এছাড়া মামলার বাদী নবীনগর পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নীলুফার ইয়াছমিনের নেতৃত্ব একটি ঝাড়ু মিছিল বের হয়। পরে মামলার প্রধান আসামি পুতুল বেগমও কয়েকজন নারীকে নিয়ে নবীনগরে বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা ঝাড়ু মিছিল বের করেন।
বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে শহরের ডাকবাংলোর সামনে মামলার প্রতিবাদে ‘সাংবাদিক সমাজ’-এর ব্যানারে মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে মামলার সাত আসামির মধ্যে চারজন উপস্থিত ছিলেন।
নবীনগরে থাকা পাঁচটি সাংবাদিক সংগঠনের (চারটি প্রেসক্লাব ও একটি সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ) নেতৃবৃন্দসহ সিনিয়র ও মূলধারার অধিকাংশ সাংবাদিককেই মানববন্ধনে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।
এদিকে মানববন্ধন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই মামলার বাদী পৌর কাউন্সিলর নীলুফার ইয়াছমিনের নেতৃত্বে নারীদের নিয়ে একটি ঝাড়ু মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
‘সাংবাদিক সমাজ’ এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় অধিকাংশ সাংবাদিক অনুপস্থিত কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মামলার প্রধান আসামি পুতুল বেগম বলেন, ‘একটি মহল থেকে সাংবাদিকদেরকে মানববন্ধনে আসতে নানাভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা আইনিভাবে মামলা মোকাবিলার পাশাপাশি সাংবাদিকদের পাশে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।’
এদিকে মামলার বাদী নীলুফার ইয়াছমিন বলেন, ‘আমি প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ও ঝাড়ু মিছিল করিনি। যারা সাংবাদিকতার নামে এই মহান পেশাটাকে কলুষিত করছে, আমি সেসব চাঁদাবাজ ও দালালদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমি মনে করি, সাংবাদিক সমাজের আয়না। আর সেই আয়না যারা ভাঙে, তাদের সঙ্গে আমার কোনো আপেস নেই।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ‘নবীনগরে এসব ঘটনা দেখে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জা হয়।’ মামলাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান তিনি।
‘শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সন্তান সেজে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন’ এবং ভুয়া সন্তান মহিলা কাউন্সিলরের ভাতা স্থগিত’ শিরোনামে নিজেদের পত্রিকা ও ফেসবুক পেজে গত বছরের শেষ দিকে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করেন সাত সাংবাদিক। প্রকাশিত এসব সংবাদকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মানহানিকর’ দাবি করে কাউন্সিলর নীলুফার ইয়াসমিন ওই সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।