Main Menu

নবীনগরে সেতু আছে, সড়ক নেই, ভোগান্তিতে সাধরণ মানুষ

+100%-

মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনাতপুর ইউনিয়নের হুরুয়া ও কাঠালিয়া গ্রামের মধ্যবর্তী খালের উপর সেতু আছে, রাস্তা নেই। এই রাস্তাবিহীন সেতু এখন দুই গ্রামবাসীর গলাকাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত প্রায় এক বছর আগে এটি নির্মাণ করা হলেও রাস্তা না থাকার চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণের। সেতুর দুই পাশের মাটি ভরাট না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না এই সেতু।

গতকাল সোমবার সরজমিন গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে গত প্রায় এক বছর আগে উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের মৃত ফরিদ মিয়া বাড়ির কাছে প্রায় ২০ লাখ টাকা মতো ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণের পর থেকে আজ অবধি সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে।এটি এখন মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকার হাজার হাজার মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য সদর ইউনিয়ন ও উপজেলা সদর এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়। সেতুর আশেপাশে জমে থাকছে পানি আর এ পানি জমাট বেধে থাকায় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ভিজে যাচ্ছে তারা। তাই মই দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে সেতুর উপর উঠতে হয়। জনস্বার্থে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের মাটির কাজ জরুরি ভিত্তিতে ভরাটের দাবি জানান গ্রামবাসী।

হুরুয়া গ্রামের মুরুব্বী আবুল হাসেম বলেন, এই সেতু দিয়ে একদিনও পার হতে পারিনি। স্থানীয় চেয়রাম্যান মেম্বার নেতাদের একাধিকবার বলেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ভোটের সময় এলে নেতারা আসে আর ভোট চলে গেলে তাদের দেখা পাওয়া যায় না । ,

কাঁঠালিয়া গ্রামে এক বৃদ্ধা আম্বিয়া খাতুন বলেন, খালের পানিতে নেমে পার হয়ে যেতে হয় জিনোদপুর বাজারে। সেতু দিছে কিন্তু সেতুতে ওঠার কোনো ব্যবস্থা নাই । ছোট ছোট নাতি-নাতনি নিয়ে ভিজে স্কুলে যাই, ভয় করে কখন আবার ওরা (নাতি-নাতনি) পানিতে পড়ে যায়, কারণ ওরা এখনো সাঁতার শেখনি।

এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুর হোসেন এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ঢাকায় অফিসিয়াল প্রশিক্ষণে থাকায় কথা বলা যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমি উপজেলা এল,জি,ই,ডি এর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো।






Shares