Main Menu

নানা আয়োজনে খারঘর গনহত্যা দিবস পালিত

+100%-

nb 10-10-15
আজ ১০ অক্টোবর খারঘর গনহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের  আজকের এই দিনে পাকবাহিনী  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের পাগলী নদীর তীরবর্তী খারঘর গ্রামে পাক বাহিনীর জাহাজ প্রবেশ করে নিরীহ গ্রামবাসীর উপর বর্বর হামলা চালায়। এই হামলায় খারঘর গ্রামের ৪৩ নারী-পুরুষ ও শিশু নিহত হয়। আহত হয় আরো অনেকে। নিহত ৪৩ জনের মধ্যে ২৭ জনকে খারঘর গ্রামে গণকবর দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটি দিবসটি পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গণকবরে ফুল দিয়ে বিন¤্র প্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। দুপুরে খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটি দিবসটি উদযাপনে আজ শনিবার দুপুরে মিলাদ মাহফিল ও স্মরণসভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন নবীনগর এলাকার গ্রুপ কমান্ডার সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর বর্বর পাকবাহিনী খারঘর গ্রামে প্রবেশ করে ৪৩ জন নারী-পুরুষ এবং শিশু নির্বিচারে গণহত্যা করেছিল। এটা ইতি হাসের পাতায় বিরল ঘটনা। তিনি বিনম্র শ্রদ্ধা চিত্তে একাত্তরের বীর শহীদের প্রতি স্মৃতিচারণ করেন।

খারঘর গ্রামের মেম্বার তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তৃতায় নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন সরকার ১৯৭১ বীর শহীদের গনকবর সংরক্ষনের উর্দ্যােগ গ্রহন করেছেন।
স্মরণসভায় খারঘর গণহত্যার সময় হামলার শিকার হয়ে বেচে থাকা মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল হক সুধন ও রিনা বেগমসহ ৩৫ জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।






Shares