নবীনগরে আগুনে পুরে একটি বসত ঘর ভষ্মীভূত হয়ে নিঃস্ব একটি পরিবার।
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনি ধি::ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের দাপুনিয়া গ্রামের বড়বাড়ির মৃত হাজী মুত্তালিব মিয়ারএকটি ভিটি পাকা টিনের বসত ঘর আগুনে পুরে ভস্মীভূত হয়ে যায়।আজ(১৭/১০)রবিবার বিকাল ৩টায় ঘটনাটি ঘটে পরে শতশত মানুষের অক্লাম্ত চেষ্টায় প্রায় দেড় ঘন্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ের সংসারের পরিবারটি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।আগুনে পুরে যাওয়ার সময় ও-ই পরিবারের কেউ বাড়ীতে না থাকায় এবং ঘরটি তালাবদ্ধ থাকার দরুন আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের ঘরের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,আমি ঘর থেকে বের হয়ে দেখি ঘরটির চালের ওপর আগুনের ধোয়া বের হচ্ছে পরে চিৎকার করলে লোকজন আসে ঘরটি তালাবদ্ধ থাকার কারনে পানি দিতে সমস্যা হয়।আমরা গ্রামের মসজিদের মাইক দিয়ে সবাইকে আগুন নিভানোর কাজে সাহায্য করার জন্য অনুরুধ করলে মিরপুর দাপুনিয়ার শতশত মানুষ আগুন নিভানোর জন্য ছুটে আসে তারপরও আমরা ঘরটিকে আগুন থেকে রক্ষা করতে পারিনি।
অনেক চেষ্টার পর যখন আগুন নিভাতে সক্ষম হই ততক্ষণে ঘরটি ভস্মীভূত হয়ে যায়। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন,”আগুনের তীব্রতা বেশী ছিল এবং ঘরটি তালাবদ্ধ থাকার কারনে পানি দিতে সমস্যা হাওয়ার ফলে ঘরটিকে আগুন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।তিনি আরো বলেন, আমাদের ভাগ্য ভাল যে বাতাস ছিলনা যদি বাতাস থাকতে তাহলে আশেপাশের ঘরগুলোও আগুনে পুরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
আমরা মটর লাগিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিভানোর জন্য চেষ্টা করে পাশের ঘরগুলো রক্ষা করতে পেরেছি”।বসতভিটার মালিক মৃত মুতালিব মিয়ার স্ত্রী বলেন, “ঘরে অনেক মূল্যবান কাগজ জিনিসপত্র টাকা পয়সা স্বর্ণ ছিল এসব কিছুই বাঁচানো গেলনা।আমি এখন কোথায় থাকব, কি খাব, কার কাছে যাব, আমার আর কিছুই রইলনা বলে তিনি চিৎকার করতে থাকেন”।
« বিজয়নগরে স্কুলের জায়গা রক্ষার দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন (পূর্বের সংবাদ)
(পরের সংবাদ) নবীনগরে নদী থেকে এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার »