নবীনগরে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করছে প্রভাবশালী
মিঠু সূত্রধর পলাশ : জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের আহাম্মদপুর গ্রামে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে সরকারি নির্দেশনা কে অমান্য করে ড্রেজার বসিয়ে ২৮ বিঘা ফসিল জমি নষ্ট করে মাটি বিক্রি করছে এলাকার প্রভাবশালী খবির উদ্দিন।
তিনি সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ফসলী জমির মাটি বিক্রি করে পুকুর খনন করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের আহামদপুর মৌজায় অবস্থিত ওই জমির চারদিকে ফসলি ধানিজমি। এলাকার অনেক বড় ধানের আবাদ হয়ে থাকে এই কৃষি জমি থেকে। এলাকার হাজার হাজার মন ধান সংগ্রহ হয়ে থাকে এসব ফসলি জমি থেকে।
ওই সব ফসলি জমির মাটি গভীর ভাবে খনন করে যদি এভাবে জলাশয় সৃষ্টি করা হয় তাহলে অন্যন্যা জমিগুলোর চাষাবাদ করা ব্যাপক হমকির মুখে পরবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কৃষকরা জানান, খবির উদ্দিন সাহেব এলাকার একজন প্রভাবশালী মানুষ । উনার বিরুদ্ধে এলাকার কেউ কথা বলে না। তিনি ফসলি জমি ক্রয় করে মাটি বিক্রি করে পুকুর খনন করছেন। ফসলি জমির মাটি গভীর ভাবে খননের ফলে এলাকার সব কৃষি জমির মাটি ডেবে যাচ্ছে। ফলে ফসল করতে না পেরে অনেকেই কম দামে সেই ফসলি জমি খবির উদ্দিনের কাছেই বিক্রি করে দিচ্ছেন। এলাকার সকল সাংবাদিক ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তিনি এসব করছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহাবুব মেম্বার বলেন, বেশ কয়েকবার ওই ফসলি জমি খনন বন্ধ করা হয়েছে। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় এসব নিয়ে ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। এভাবে ফসলি জমি খনন হলে এলাকার কৃষি আবাদ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের আহামদ পুর গ্রামে
সরজমিনে গিলে খবির উদ্দিন কে পাওয়া যায় নি। এ বিষয়ে খবির উদ্দিনের ছোট ভাই খোরশেদ আলম জানান, আমরা সব কিছু ম্যানেজ করেই এসব করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি আবু মোছা জানান, বিষয়টির খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।