চৌকশ এডিশনাল এসপি মকবুল হোসেনের সাঁড়াশি অভিযানে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে
মিঠু সূত্রধর পলাশ, নবীনগর প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর সদরের মার্সেল ডিলার রফিকুল ইসলামের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়ে প্রকাশ্যে গুলি করার আলোচিত ঘটনাটি ঘটার দু’দিনেই সেটি উদঘাটন করে ফেলেছে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. মকবুল হোসেন। এঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসী মো. আলাল হোসেন (৩০) মো. ইয়াছিন মিয়া (৩১), মো. চাঁন বাদশা (৩৭) ও পালাতক সন্ত্রাসী সাদেকুরের স্ত্রী…. (২২) কে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৫ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার মহন মিয়ার বাড়ি থেকে নবীনগর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের সারাশি অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪৭ রাউন্ড গুলি সহ ঘটনায় জড়িত চার জন সন্ত্রাসীকে আটক করে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে জনমনে স্বস্তির ছায়া ফিরে আসে।
জানা যায়, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকশ দল ঘটনার সাথে জড়িত তিন যুবককে ১৪ মে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় নবীনগর ও ঢাকা-গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেন। তাদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ওই বিদেশী পিস্তল ও ৪৭ রাউন্ড গুলি সহ আরো একজনকে আটক করে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, এলাকায় গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটলে অতংঙ্কিত না হয়ে পারি? থানার বড় দুই স্যারেরে (এডিশনাল এসপি মো. মকবুল হোসেন ও ওসি রনোজিত রায়) ধন্যবাদ। তারা সন্ত্রাসীদের ঈদের আগে না ধরলে আমাদের মনের ভয় কাটাতোই না। আল্লাহ তাদের ভালা করুক।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা মাওলানা মেহেদী হাসান জানান, নবীনগর থানা পুলিশের চৌকশ দল ঘটনার সাথে জড়িত চার সন্ত্রাসীকে আটকের ঘটনা জন মনে স্বস্থি ফিরিয়েছেন। সাধারণ মানুষ অনেক ভয়ে ছিলো,এখন সবাই শান্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। নবীনগর থানার ওসি রনোজিত রায় জানান, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মকবুল হোসেন স্যারের দিক নির্দেশনায় সংঘবদ্ধ এই সন্ত্রাসী চক্রটিকে খুব অল্প সময়েই চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে চারজনকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। এই চক্রটিকে চিহ্নিত করতে না পারলে এই ঈদ পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষ আতঙ্কে থাকতো।
এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. মকবুল হোসেন জানান, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। ঘটনায় জড়িত মূল হুতাদের চিহ্নত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতা করতে আমাদের অভিজান অব্যাহত আছে। এছাড়াও সবাইকে নিরাপদে রাখতে আমরা পুলিশ প্রশাসন মাঠে আছি। সবাই করোনা ভাইরাসের মহামারী থেকে বাঁচতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন,ঘরে থাকুন এবং পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।