খারঘর গনহত্যা দিবস



আজ শুক্রবার ১০ অক্টোবর। ঐতিহাসিক খারঘর গনহত্যা দিবস । ১৯৭১ সালের এ দিনে সকাল আনুমানিক ৭টায় পাক সেনা ভর্তি একটি জাহাজ ও আরেকটি নৌকা এ গ্রামের উত্তরপাড়ার নিরীহ গ্রমবাসীর উপর নির্বিচারে গুলি আর ব্রাশ ফায়ার করে। প্রায় ৪০/৪৫ মিনিটে পাক হানাদাররা হত্যা করে গ্রামের ৪৩ জন মানুষকে। আহত করে ১১৭ জনকে। পরে মুক্তিবাহিনীর তুমুল গেরিলা যুদ্ধে এলাকা থেকে বিতারিত হয় পাকবাহিনী।
সীমান্তবর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মহান মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস এ জেলা ছিল উত্তাল। সীমান্ত অঞ্চল হওয়ায় প্রায় প্রতিনিয়তই পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ চলত। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার সীমান্ত ঘেঁষা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রয়েছে অসংখ্য ইতিহাস। তেমনি এক ইতিহাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাড়ঘর বধ্যভূমি। যুদ্ধের সময় বড়াইল ও খাড়ঘর গ্রাম ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপদ ঘাঁটি। বড়াইল বাজার ক্যাম্প থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে তখন বড় বড় গেরিলা অভিযান গুলো পরিচালিত হত। ভৈরব রেলব্রীজ ধ্বংস, লালপুরে মেঘনা নদীতে পাকবাহিনীর খাদ্য ভর্তি কার্গো ডুবিয়ে দেয়া এবং বদগুনী খালের যুদ্ধসহ বড় বড় অপারেশন চালানো হয় এখান থেকে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে প্রতি বছর ১০ অক্টোবরের দিনটি সরকারি-বেসরকারিভাবে খারঘর গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে সরকারিভাবে প্রশাসন এবং স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যোদ্ধাহত শহীদ পরিবারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ খারঘর গণকবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।