এটা কি করে সম্ভব, একজন শিক্ষক সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়?



নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর সরকারী প্রাথমকি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উত্তর লক্ষীপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আবু কাউছারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সুধীজনরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে রবিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অনুলিপি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগে ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগে জানান, আবু কাউছার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সরকারি কর্মচারী হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রেরিত প্রজ্ঞাপন (যার স্মারক নং প্রাশিঅ/ওএম/৩৯ বিদ্যা-ঢাকা/২০১১/৩৫/৬০০,তারিখঃ- ৩০ জানুযারি ২০১৪) অনুযায়ী সরকারি কর্মচারী (আচরন) বিধিমালা ১৯৭৯ অনুযায়ি একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কোন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে পারেন না।
অথচ আবু কাউছার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও ক্ষমতার প্রভাবে তিনি উত্তর লক্ষীপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। অভিযোগকারীরা বলেন, তিনি উত্তর লক্ষীপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, খবরদারি, স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও শিক্ষার স্ষ্ঠুু পরিবেশের ব্যাপক অবনতি ঘটে। এলাকার মানুষের মধ্যে গ্রুপিং করে এলাকায় দাঙ্গা-ফ্যাসাদে মদদ দিচ্ছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে মামলা হামলার কারনে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকছে। সব মিলিয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগন চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে আবু কাউছার মামলা মোকদ্দমা করান। এতে এলাকার শান্তি শৃংখলার অবনতি ঘটে। যে কোন সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। অভিযোগকারীরা আরো উল্লেখ করেন তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েও নিয়মিত স্কুলে যান না। স্থানীয় ও প্রভাবশালী লোক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বনিকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান শিক্ষক আবু কাউসার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিজে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হইনি। গ্রামবাসী আমাকে করেছে। আমি সদস্য থেকে পদত্যাগ করব। সন্ত্রানে মদদ দেয়ার ব্যাপারে বলেন, এটা কি করে সম্ভব একজন শিক্ষক সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়। সব কিছু আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।a