বাস্তবতা বড়ই কঠিন, তবে কল্পনার মত সহজ নই।
আমরা যারা দেশে থাকি, চিন্তা করি যে বিদেশ মনে হয় অনেক সুখ আর টাকার গাছ আছে।আসলে কি তাই?
বাস্তবতার মখোমুখি না হলে কোনকিছু বুঝা যাই না।আমরা অনেকের কাছে থেকে শুনি প্রবাস জিবনের কথা,কিন্তু এই কথা গলো তেমন বিশাস হয় না।কেননা আমরা ত আর বাস্তব এ দেখি না। বাস্তব আর কল্পনা অনেক পার্থক্য। কল্পনা কল্পনার মতেই থাকে। আর বাস্তব বাস্তবের মত চলতে থাকে।
আমি সৌদিআরব থাকি, ৫ মাস হল।প্রায় ১৪ লাখ টাকা খরচ করে আসলাম।৫ মাস দরে আমি বসে বসে খাই আর ঘুমাই।বাবা ও সৌদিআরব থাকে ব্যবসা করে, তাই বলে আমি একটু শান্তি তে আছি,অন্যদের তুলনাই।তারপরও নিজের কাছে খারাপ লাগে, কেননা মানুষের কষ্ট দেখে।মাত্র ৬০০-৮০০ রিয়াল বেতনে ৪০-৪৪ডিগ্রি তাপমাত্রাই মানুষ রাস্তাই রাস্তাই ময়লা পরিষ্কার করে,তাও আবার ১২ ঘণ্টা।
তারপরও কিন্তু তারা থেমে নেই,বেচে আছে তার পরিবার এর জন্য।সে জানে যে তার ধারায় তার পরিবার চলে,আর সে থেমে গেলে তার পরিবার না খেয়ে থাকবে।এটাই মনে হয় দুনিয়ার নিয়ম যে,একজনের টাকা দিয়ে ৫-১০ জনের রিযিক।নিজে ১ টা টাকা ও খরচ করে না,অপ্রয়োজন ছাড়া।৩ বেলা খাবার খরচ আর টুকিটাকি খরচ।
যারা রাজমিস্ত্রি কাজ করে,তারা ভোর ৪ টাই ঘুম থেকে উঠে বাথরুম, গোসল করার জন্য, তা না হলে সিরিয়াল পাওয়া যাবে না।পরে পলিথিন করে খাবার নিয়ে যাবে, দুপুর এর খাবার এর সময় হলে পলিথিন এই খাবে।কাজ শেষ করে আবার সন্ধায় রুমে এসে রান্না করবে।একদিন রান্না করলে হয়ত ৩-৪ দিন খাই।এটাই প্রবাস জীবন। ঝর, ঠান্দা অসুখ এই গোল নিয়েও কাজে যেতে হয়,তা না হলে চাকরি যে আর থাকবে না তাই।দেশে থেকে ফোন করে বলে আমার এটা লাগবে অটা লাগবে,আসলে কিভাবে যে টাকা কামাই তারা ত কোনদিন বুঝতে পারলো না,আর বুঝতে দেয় না।বুঝতে দিলেই বা কি হবে এটাত তাদের কল্পনার বাহিরে।
আজ কে আমি বাস্তবতার মখোমুখি হয়েছি বলেই বাস্তব জীবনটা বুঝতে পারছি।বাবা আমাকে বলত প্রবাস জিবন অনেক কঠিন, তখন আমি কল্পনা ভেবে হেসে উড়ে দিলাম।আজকে আমি বুঝলাম।
উলটা পাল্টা চলার কারনে আজকে বাবা আমাকে সৌদিআরব নিয়ে আসল।যাই হোক আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া, আল্লাহ আমাদের ভাল রাখছে।